ঈদের আগেই ‘মানবিক কারণে’ খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আজকের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখা। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে, ষড়যন্ত্র করে এবং আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে আজকে তারা ক্ষমতায় আছেন। বেগম জিয়া অসুস্থ।”
“আপনাদের কাজ তো আপনারা করে ফেলেছেন। আর কি দরকার আপনাদের? তাই আমি দাবি করছি, মানবিক কারণে এই ঈদের আগে আপনারা মুক্তি দিন।”
সরকারের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আর যদি আপনারা মুক্তি না দেন… আপনাদের সেই একাদশ নির্বাচনের কারণে এবং দেশের সবচাইতে প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার কারণে মানুষ কিন্তু আস্তে আস্তে উত্তেজিত হচ্ছে, বিক্ষুব্ধ হচ্ছে। এদেশের জনগণ যখন তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রমাণ আছে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি, স্বৈরাচারী শক্তি তার সামনে দাঁড়াতে পারে নাই, তার কাছে মাথা নত করতে হয়েছে।”
গত ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কারাবন্দি খালেদা জিয়া।
বিএনপিকে নিয়ে সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, “আমাদের দলের মধ্যে যদি শক্তি সুসংহত করতে হয় তাহলে আমাদের দলের আদর্শ, দলের যে গঠনতন্ত্র আছে- সকল স্তরের গণতন্ত্র চর্চা করার যে নির্দেশ আছে তাকে অনুসরণ করে দলকে শক্তিশালী হতে হবে। এখানে বলতে চাই, কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপিতে নানা রকমের দুর্বলতা, নানা রকমের অনৈক্য।
“আমরা মনে করি, সরকার বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য এভাবে অপপ্রচার করছে। আমরা বলতে চাই, বিএনপি আগের মতোই শক্তিশালী আছে, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে এবং ভবিষ্যতে এটা প্রমাণ হবে।”
তিনি বলেন, “আজ দেশে যে অবস্থা, যে লোভ-লালসা এবং ক্ষমতার কাছে নীতি নৈতিকতা আজ পরাজিত, আজকে সত্য মিথ্যার কাছে পদানত, আজকে ভালো মন্দের কাছে পরাস্ত, এ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে সামনে নিয়ে এগোতে হবে। তাহলেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে পারব, দেশকে রক্ষা করতে পারব।”
জাতীয় দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা।
বক্তব্য দেন অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।