ঈদের সময় খাবারের বিষয়ে খুব বেশি বিধিনিষেধ মানতে চান না অনেকেই। তবে সুস্থ থাকতে যতই খেতে পছন্দ করুন, বয়স্কদের একটু হিসাব করেই খেতে হবে।
কারণ ঈদের দিন শিশু ও তরুণরা একটু বেশি খেতে পারলেও বয়স্ক ও রোগীদের বেলায় মুখরোচক খাবার বিপদ ডেকে আনে। ঈদের উৎসবে খাবার গ্রহণের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে:
ঈদের দিন সকালে রুটি অথবা পাতলা সবজি খিচুড়ি খেতে পারেন। সকাল বেলায় ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। নাস্তা করার পর মিষ্টি জাতীয় খাবার খান।
দুপুরে পোলাও, বিরিয়ানি, রেজালা যাই খান, সঙ্গে বোরহানি ও দই খেয়ে নিন।
বিকেলের দিকে একটু ভারী নাস্তা হতেই পারে ঈদের দিন বলে কথা। তবে মাংসের আইটেম খেলে বেশি করে সালাদ খেয়ে নিন সঙ্গে।
রাতে অতিরিক্ত তেল মশলার খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। ফিরে আসুন হালকা রুটি সবজি আর সামান্য মাংসতে।
এভাবে ঈদের পর দিনও চলতে পারে। তবে এর পরদিন থেকেই তেলযুক্ত খাবার পরিমাণমতো খেতে হবে। ডায়াবেটস থাকলে মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির পরিবর্তে আর্টিফিসিয়াল সুইটেনার দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
মনে রাখবেন করোনার এই সময়ে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য গরু-খাসির ফ্যাট এককথায় হারাম। রান্নার পরে ওপরে যে তেলটা ভাসতে থাকে সেটা ফেলে দিয়ে শুধু মাংসটুকু খেতে হবে। দৃশ্যমান সাদা বা হলদে চর্বি ফেলে দিন। রান্না করা মাংস রেখে দিলে জমাট বেঁধে যে অংশটুকু ওপরের দিকে থাকে সেটা পুরোটাই ফ্যাট। এই অংশটুকু ফেলে দিন।
যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য দৈনিক মাংসের পরিমাণ ডাক্তার নির্ধারণ করে দেন। ঈদের সময় এসব ক্ষেত্রে একটু কষ্ট হলেও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ ।
পরিমিত খাবার খেয়ে সবাই সুস্থভাবে ঈদ উদযাপন করুন। পরিমাণমতো পানি অবশ্যই পান করুন।