পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে এডিস মশার প্রজনন রোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ খোলা রেখে মশার প্রজননরোধে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করা হয়। মঙ্গলবার আদেশ জারি করা হলেও বুধবার তা আপলোড করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে বলা হয়, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর ধারাবাহিকতায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১২ দিন বন্ধ থাকবে। স্বভাবতই এ সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকবেন না। এ সময়ে খেলার মাঠ, ফুলের টব, পানি জমে এমন যে কোনো পাত্রে এডিস মশার প্রজনন প্রক্রিয়া আরও বেগবান হয়ে উঠতে পারে। এতে সরকার কর্তৃক গৃহীত ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত ও ডেঙ্গুর আরও বিস্তার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে এ পরিপত্রে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার ছুটির সময় একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে কর্মচারী, বিএনসিসি এবং শিক্ষার্থী সমন্বয়ে ৬ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এর আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে যেমন- ফুলের টব, পানির ট্যাপের আশপাশ এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার ট্রে, বাথরুমের পানির বদনা, পানির বালতি, হাইকোমড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, টায়ার ইত্যাদি জায়গা চিহ্নিত করে এক দিন অন্তর অন্তর পরিস্কার করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, বাথরুমের বদনা এবং বালতি পানিশূন্য করে উল্টিয়ে রাখতে হবে। হাইকমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে। বাথরুমের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, কোনো জায়গায় জমাটবদ্ধ পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমাটবদ্ধ পানি নিস্কাশন করতে হবে। আগামী ১২ থেকে ১৩ আগস্ট ছাড়া প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ খোলা রাখতে হবে। রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন/পৌরসভার এ-সংক্রান্ত টিমে নিয়োজিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ ঈদের ছুটিতে গেলে তদস্থলে উপযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।