মঙ্গলবার থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রাথমিক দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষ হয়েছে। ১৭ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটিতে থাকবেন ক্রিকেটাররা। ১৮ মে থেকে পুরোদমে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজের অনুশীলন।
করোনাকাল বলেই ঈদের ছুটিতে ক্রিকেটারদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা থাকছে বিসিবির। প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটারদের মানতে হবে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের দেয়া নির্দেশনা। সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আগামীকাল সবার ছুটি হয়ে যাবে। যারা শ্রীলঙ্কা থেকে এসেছেন তাদের তো মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছে, টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে বাইরে যেতে পারবে।’ শ্রীলঙ্কা ফেরত ক্রিকেটাররা কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়ে অনুশীলনে নেমেছেন গত রবিবার। টানা দুদিন অনুশীলনের পর ছুটিতে যাচ্ছেন মুশফিক, লিটন, তাসকিনরা।
ঈদের সময় ক্রিকেটারদের জনসমাগম হয় এমন জায়গায় যেতে নিষেধ করেছে বিসিবি। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে এমন পরিবেশে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেছেন, ‘তবে আমরা বলবো জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য। তারা যদি বাইরে যায়, পাবলিক গ্যাদারিংয়ের ভিতর, সেক্ষেত্রে সংক্রমিত হলে আবার একটা ঝামেলা তৈরি হতে পারে।’
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ওয়ানডে সিরিজে খেলবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। ঈদের পরপরই ক্যাম্পে যোগ দেয়ার আগে দুইবার করোনা পরীক্ষা করা হবে ক্রিকেটারদের। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলেই ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবেন তামিমরা। তাই ঈদের সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেই হবে ক্রিকেটারদের।
দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা তাদেরকে একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে, জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য, বাসাতেই থাকার জন্য। যারা ঢাকার বাইরে আছেন, তাদেরকেও একই কথা বলা হয়েছে। ঈদের পর ছুটি শেষে সবাই ঢাকায় ফিরলে দুবার করোনা টেস্ট হবে। দুই টেস্টের ফল নেগেটিভ আসলে আগামী ১৮ মে থেকে আবার অনুশীলন শুরু হবে।’