বল হাতে ভারতকে বড় একটা ধাক্কা দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আফগান স্পিনের পরে কেমার রোচদের পেসে হাবু-ডুবু খায় ভারত। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে উঠে যায় প্রশ্ন। বিরাট কোহলি ছাড়া যেন তাদের ব্যাটিং করার কেউ নেই! শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বোলাররা প্রমাণ করলেন- দোষ রোহিত-বিজয় শঙ্করদের নয়। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ব্যাটিং করাই ছিল কঠিন। মোহাম্মদ শামি-জাসপ্রিত বুমরার তোপে পড়ে তাই উইন্ডিজ ১৪৩ রানে অলআউট। ভারত তুলে নিল ১২৫ রানের বড় জয়।
টস জিতে ম্যানচেস্টারে বৃহস্পতিবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু শুরুতে রোহিত শর্মা আউট হয়ে ফিরে যান। তার ওই আউট নিয়ে অবশ্য ভারতীয় মিডিয়ায় জোর বিতর্ক। তবে বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। তারা গড়েন ৬৯ রানের জুটি। এরপর ৪৮ রানে রাহুল ফেরেন।
হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ভারতের মিডল অর্ডার। চারে ব্যাট করতে নামা বিজয় শঙ্কর ব্যর্থ হয়ে ফেরেন। দলে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। পাঁচে নামা কেদার যাদবও ব্যর্থ। এরপর দলের ১৮০ রানে ৭২ রান করে সাজঘরে হাটা দেন কোহলিও। বড্ড চাপে পড়ে যায় ভারত।
এমএস ধোনি-হার্ডিক পান্ডিয়া জুটি ভাঙতে পারলেই যেন উইন্ডিজের পরিত্রাণ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেটাই পারেনি। সেট হয়ে দু’জন গড়েন ৭০ রানের জুটি। ধোনি করেন ৫৬ রান। পান্ডিয়া আউট হন ৪৬ রান করে। লড়াইয়ের জন্য ২৬৮ রানের পুঁজি পেয়ে যায় ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডারের কেউ দাঁড়াতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন সুনীল আমব্রিস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নিকোলাস পুরান। কিন্তু অন্যরা পুরোপুরি ব্যর্থ হন। দলের ১৬ রান দুই উইকেট হারায় তারা। শতকের আগেই হারায় ৫ উইকেট। ভারতের মতো সেখান থেকে বেশি দূর যাওয়ার সুযোগ তারা পায়নি।
ভারতের হয়ে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেট পাওয়া মোহাম্মদ শামি এ ম্যাচেও চার উইকেট নেন। জাসপ্রিত বুমরাহ ও যুজবেন্দ্র চাহাল নেন দুই উইকেট। কুলদীপ যাদব এবং হার্ডিক পান্ডিয়া নেন একটি করে উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কেমার রোচ তিন উইকেট নেন। জেসন হোল্ডার এবং শেলডম কটরেল দুটি করে উইকেট দখল করেন।