কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের দুই ভাইসহ চার সহযোগী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি ও ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েক সদস্যও আহত হন। শুক্রবার দুপুরে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের মনখালীর চেপটখালীর গহিন পাহাড়ে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন।
নিহতরা হলেন- বশির আহমদ, মো. হামিদ, মো. রফিক ও রইঙ্গা। তারা শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী ছিলেন। নিহতরা টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাসিন্দা এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নিহতদের মধ্যে বশির ও হামিদ ডাকাত হাকিমের ভাই। ঘটনাস্থল থেকে অল্পের জন্য পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন হাকিম ডাকাত।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, হাকিম ডাকাত ও তার সহযোগীদের ধরতে জেলা পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে। শুক্রবার সকালে খবর আসে হাকিম ডাকাত তার দলবল নিয়ে টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তের মনখালী এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র লেনদেন করবে। এরপরই পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি ঠের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে ডাকাত দল। এতে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটে পাহাড়ে ঢুকে পরে। পরে ওই এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত দলের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে শীর্ষ ডাকাত হাকিম স্থানীয় সাতজনকে অপহরণ করে। তাদের মধ্যে দুইজন নির্মমভাবে হত্যাও করা হয়। চলতি বছরের ২৬ জুন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ২৬ জন সক্রিয় ডাকাত ছিল। বাকিরা মাদক কারবারি।