দল ছেড়েছেন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি। কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় মিশরের ডিফেন্ডার আলা নাস ইসাকেও পাচ্ছে না আবাহনী লিমিটেড। উত্তর কোরিয়ার দল এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভ স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে এএফসি কাপের নকআউট পর্বের ম্যাচের আগে তাই রক্ষণভাগ নিয়ে চিন্তিত কোচ মারিও লেমোস।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালসের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।
গ্রুপ সেরা হওয়ার পথে উত্তর কোরিয়ার দলটি ১৭ গোল দিয়ে খায় মাত্র দুটি। গ্রুপ সেরা আবাহনী ১২ গোল দিয়ে খেয়েছিল পাঁচটি। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের রানার্সআপ হওয়া দলটি ৬০ গোল দিয়ে খায় ২৮টি। নিজের রক্ষণ নিয়ে তাই দুর্ভাবনা আছে লেমোসের।
“এ মৌসুমে আমরা অনেক বেশি গোল খেয়েছি, যে জায়গাটায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। অবশ্যই আগামীকাল আমরা ভিন্নভাবে খেলব। আমার বিশ্বাস ছেলেরা শুধু আবাহনী নয়, দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অনুপ্রাণিত থাকবে।”
রক্ষণাত্মক ছকে থাকার ইঙ্গিতই দিয়েছেন লেমোস। রায়হান হাসান, টুটুল হোসেন বাদশা, সাদ উদ্দিন, লি তায়ে মিন-এই চার জনের সঙ্গে ওয়ালী ফয়সাল ও মামুন মিয়ার মধ্যে একজনকে নিয়ে রক্ষণ সাজানোর পরিকল্পনা আবাহনী কোচের। চোট জর্জর দল নিয়ে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে আসাটাও আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে পর্তুগিজ এই কোচকে।
“আমরা কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে মিনেরভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে টিকে ছিলাম। মাসিহ, ইসা নেই। মামুনুলের (ইসলাম) চোট আছে। এরা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে গ্রুপ পর্বে আমরা সানডে চিজোবা, ওয়েলিংতন সেরিনো প্রিওরির মতো খেলোয়াড় ছাড়াই সেরা হয়েছি।”
“কখনও কখনও খেলোয়াড়দের চোট থাকবে। কেউ নিষিদ্ধ থাকবে। ফুটবলে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এক্ষেত্রে নতুনদের বড় ম্যাচের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ছেলেদের বলেছি-কোনো অজুহাত চাই না। দায়িত্ব নিতে হবে।”
গত লিগে রানার্সআপ আবাহনীর ফরোয়ার্ডরা আলো ছড়িয়েছেন দারুণ। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিজোবা (২০টি) ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। ১৬ গোল নিয়ে তৃতীয় নাবীব নেওয়াজ জীবন। গোল পাওয়ার প্রশ্নে আশাবাদী লেমোস প্রতিপক্ষের ঘাসের মাঠে খেলার অনভ্যস্ততার সুযোগটাও নিতে চান।
“এটা সত্যি যে, ম্যাচটা আমাদের ডিফেন্ডারদের জন্য একটা পরীক্ষা। কিন্তু আমাদেরকেও আগ্রাসী হতে হবে। কেননা, এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমাদেরকে আরও বেশি দৌড়াতে হবে, লড়াই করতে হবে। যদি আমরা ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস আমরা গোলও করতে পারব।”
“ওরা টার্ফে খেলতে অভ্যস্ত। এখানে খেলা হবে ঘাসের মাঠে। স্বাভাবিকভাবে ঘাসের মাঠে মানিয়ে নিতে ওদের সংগ্রাম করতে হবে। মানাং মার্সিয়াংদিরও এই সমস্যা হয়েছিল এখানে এসে। অবশ্যই আমাদের এ ম্যাচ জিততে হবে। আমরা জানি ওরা ভালো এবং শক্তিশালী দল কিন্তু আমরাও ভীত নই।”
বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে জানাশোনা না থাকার কথা উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়ার দলটির কোচ ও ইয়ুন সন সংবাদ সম্মেলনে জানালেন সেরাটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
“আমাদের দলে জাতীয় দলের চারজন খেলোয়াড় আছে। এখানকার ফুটবল নিয়ে আমার জানাশোনা নেই। আবাহনীর গ্রুপ পর্বের ম্যাচের কিছু হাইলাইটস দেখেছি। আগামীকাল আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আশা করি উপভোগ্য একটা ম্যাচ হবে।”