আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন হয়েছে। আইএমএফ বোর্ডের এ অনুমোদনের ফলে ৬৮২ মিলিয়ন বা ৬৮ দশমিক ২ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রাত সাড়ে ১২টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
আইএমএফ চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় দেয় সংস্থাটি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য জুনভিত্তিক বিভিন্ন সূচকে শর্ত পালনের অগ্রগতি দেখতে ৪ অক্টোবর আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে। মিশনের নেতৃত্ব দেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিশনকে জানানো হয়েছিল, অন্যান্য শর্তের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে রিজার্ভ এবং রাজস্ব আয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। দেশের জাতীয় নির্বাচনের পর এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে। মিশনটি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের সঙ্গে টানা ১৬ দিন বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে যায় আইএমএফ প্রতিনিধিদল। বলা হয়, আইএমএফের পরবর্তী বোর্ড সভায় কিস্তি অনুমোদন হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার সে অনুযায়ী দ্বিতীয় কিস্তির অনুমোদন করে আইএমএফ।