যারা খাটনি ছাড়া ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সুখবর হল একটু বেশি ঘুমিয়ে দেহের বাড়তি ওজন কমানো যেতে পারে।
আর এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক এক পর্যবেক্ষণ মূলক গবেষণায়।
‘জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিন’ শীর্ষক অনলাইন সাময়িকীতে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ‘দি ইউনিভার্সিট অফ শিকাগো’র গবেষকদের করা এই পর্যবেক্ষেণের ফলাফলে জানানো হয়, ভালো মতো বেশি ঘুমাতে পারলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করেও ওজন কমানো যায়।
উদ্দেশ্য
এই গবেষণা অবলম্বনে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, পর্যবেক্ষণে জন্য অংশ নেন ৮০ জন স্থূলকায় ব্যক্তি যারা নিয়মিত সাড়ে ছয় ঘণ্টা বা তারও কম সময় ঘুমান। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল, আরও বেশি ঘুমালে স্থূলকায় ব্যক্তিদের কর্মশক্তির ওপর কী প্রভাব পড়বে সেটা খুঁজে বের করা।
পদ্ধতি
গবেষণার জন্য অংশগ্রহণকারীদের এলোমেলোভাবে দুদলে ভাগ করা হয়।
এক দলের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে ঘুম-বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার হয়। লম্বা সময় ভালোমানের ঘুম হওয়ার জন্য দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এই দলের নাম ‘স্লিপ এক্সটেনশন গ্রুপ’।
অপরদলকে এমন কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না বরং তাদের নিজের ব্যক্তিগত যে ঘুমের রুটিন ছিল সেটাই চালিয়ে যেতে বলা হয়। এই দলের নাম হয় ‘কন্ট্রোল গ্রুপ’। কাউকেই তাদের প্রাত্যহিক খাদ্যাভ্যাসের কোনো হিসাব রাখতে বলা হয়নি।
ফলাফল
দেখা গেছে ‘স্লিপ এক্সটেনশন গ্রুপ’য়ের সদস্যদের বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তনে ঘুমের মান উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ওজনও কমেছে।
কতটুকু বাড়তি ঘুম দরকার
এই গবেষণার অন্যতম গবেষক, ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো’য়ের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ মেডিসিন’য়ের ডা. ইসরা তাসালি বলেন, “স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাসগুলোর চর্চা লম্বা সময় ধরে চালিয়ে যেতে পারলে ওজন কমাতে তা বেশ উপকারী হয়। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য ক্যালরি গুনে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করছেন। তবে শুধু ঘুমের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়েই ওজন কমানো সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের গবেষণায় জানা গেছে প্রতিদিন ১.২ ঘণ্টা বেশি ঘুমিয়ে প্রায় ২৭০ ক্যালরি খরচ করা সম্ভব।”