একনেকে ১২ প্রকল্প অনুমোদন

উন্নয়ন প্রকল্পে ভুল মূল্যায়ন (এসেসমেন্ট) করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

image-81083-1566308927

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে (একনেক) এ নির্দেশনা দেন তিনি। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌরসভা সংরক্ষণের জন্য একটি সংশোধিত প্রকল্প এসেছে। এখানে আরেকটি প্রকল্প অতীতে করা হয়েছিল, যেখানে গাফিলতি ছিল। এখানে প্রকৌশলীর ভুল এসেসমেন্টে ছিল। এই ভুলের জন্য আমাদের বহু ক্ষতি হয়েছিল ওই প্রকল্পে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি, টাকা জলে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একই লোক নাকি আবার এখানে ইঞ্জিনিয়ার! এটা কি ভাবে সম্ভব। তার ভুলের জন্য আমাদের এত বড় ক্ষতি হলো, তাকে তিরস্কার না করে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগের সেই প্রকল্পে একটা তদন্ত হয়েছিল। সেখানে প্রকৌশলীর গাফিলতির বিষয়টা উঠে এসেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে, সেটার ভালো জবাব একনেক সভায় পাননি প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পানিসম্পদমন্ত্রী এবং সচিব কোনো সদুত্তর দিতে না পারলে প্রধানমন্ত্রী শাস্তি নিশ্চিত করার কথা বলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী ও সচিব বলেন, একনেক থেকে ফিরে গিয়েই তারা ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি ও বিধিবিধানগত ব্যবস্থা শুরু করবেন। এ সময় উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সবজি রফতানি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ বিমানকে দুটি কার্গো বিমান কেনার বিষয়ে চিন্তা করতে বলেছেন। কারণ, কৃষিপণ্য রফতানি বেড়েছে। অন্য বিমানে বেশি ভাড়া নিয়ে পাঠাতে হচ্ছে বলে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি কার্গো বিমান কিনলে অনেক কম খরচেই রফতানি করা যাবে। এছাড়া নভেম্বর মাসে আরও একটি ড্রিমলাইনার বিমান আসছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পর্যায়ক্রমে সারাদেশের বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া নতুন করে স্লুইস গেট নির্মাণ না করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাওর অঞ্চলে সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব সড়কে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহের জন্য প্রচুর ব্রিজ বা কালভার্ট রাখতে হবে। সড়ক নির্মাণের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ আটকে না থাকে। বৃহৎ সরকারি ভবনে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে।

মঙ্গলবার একনেক সভায় ৩৪৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল হতে ৩১৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ঋণ আকারে ৩০৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে।

Pin It