একুশে পদক পাচ্ছেন সুজাতা, আসাদ, ভাস্বর

1612512544.Ekushey

শিল্পকলার ছয় জনসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান স্বরূপ তিন ভাষা সৈনিক, তিন মুক্তিযোদ্ধা, তিন সাহিত্যিক, সাংবাদিকতা, গবেষণা, অর্থনীতি ও আলোকচিত্রে একজন করে মোট ২১ জনকে এবছর একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। বিনোদনে পাচ্ছেন ছয়জন।

এ বছর সংগীতে একুশে পদক পাচ্ছেন পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে সম্মাননা পাচ্ছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা আজিম। এছাড়াও নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী ও আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুজাতা আজিম

মূল নাম ছিল তন্দ্রা মজুমদার, এখন লোকে ‘সুজাতা আজিম’ নামেই চেনে। তিনি কুষ্টিয়ার থানাপাড়া জমিদার বাড়ির মেয়ে। রূপালি পর্দার প্রথম ‘রূপবান’ তিনি। ১৯৬৫ সালের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পরিচিত। আছে আরও অনেক স্মরণীয় চরিত্র। সংসারও করেছেন এক নায়কের সঙ্গে। অভিনেতা আজিমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৮ সালের পর প্রায় একযুগ অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।

রাইসুল ইসলাম আসাদ

আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম। যিনি রাইসুল ইসলাম আসাদ নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালের ১৫ জুন তার জন্ম। তিনি বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি চার বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭২ সালে আসাদ প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, ‘আমি রাজা হব না’ এবং ‘সর্পবিষয়ক’ নামের দুইটি নাটকে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া আবার তোরা মানুষ হ। আসাদ নাটক পরিচালনাও করছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আসাদ ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

পাপিয়া সারোয়ার

পাপিয়া সারোয়ার রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন প্রকাশক। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন।

ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়

ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৫২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, খুলনা শহরে। ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে একজন আবৃত্তি শিল্পী, অভিনেতা, স্বর ও বাচন প্রশিক্ষক, গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র প্রশিক্ষক, নাট্য প্রশিক্ষক, এবং নাট্য বিষয়ক লেখক। তিনি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে তিন বছর মেয়াদী পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে এম.এ এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যকলায় পি.এইচ.ডি করেন। বাংলাদেশ বেতারে ১৯৭০ সাল থেকে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৭৬ সাল থেকে তালিকাভুক্ত অভিনয় শিল্পী হিসেবে অভিনয় করে যাচ্ছেন অদ্যাবধি। নিয়মিত অভিনয় স্বর ও বাচন উৎকর্ষ এবং আবৃত্তি বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনা করে থাকেন। সংবাদ উপস্থাপনা ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা বিষয়েও নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন। নাটকের দলগুলোতে নিয়মিত অভিনয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন।

Pin It