এক সপ্তাহে করোনায় ৫২৩ জনের মৃত্যু

image-254280-1624525026

দেশে টানা এক সপ্তাহ করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সাত দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৫২৩ জন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এক দিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত এক দিনে করোনায় মারা গেছেন ৮১ জন। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ২৩ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ, খুলনায় টানা তিন দিন সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সরকার এপ্রিলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর মে মাসে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশ খানিকটা কমে এসেছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেলটার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যু জুনের শুরু থেকে আবার বাড়ছে। গত ২৩ জুন শনাক্ত হন ৫ হাজার ৭২৭ জন।

গত ২২ জুন ৪ হাজার ৮৪৬ জন, ২১ জুন ৪ হাজার ৬৩৬ জন, ২০ জুন ৩ হাজার ৬৪১ জন, ১৯ জুন ৩ হাজার ৫৭ জন এবং ১৮ জুন ৩ হাজার ৮৮৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন। গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগী বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুও। গত ২৩ জুন ৮৫ জন, ২২ জুন ৭৬ জন, ২১ জুন ৭৮ জন, ২০ জুন ৮২ জন, ১৯ জুন ৬৭ জন এবং ১৮ জুন ৫৪ জন করোনায় মারা যান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫৫৪টি ল্যাবে ৩০ হাজার ৩৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যা আগের দিন ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল। দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৩ জনই ছিলেন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন, বরিশাল বিভাগে তিন জন, রংপুর বিভাগে সাত জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে।

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান এ তথ্য জানান।

Pin It