পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি ছিল বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক কথা হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান। বাংলাদেশ এখনও সেই নীতির ওপর রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার নীতিই বাস্তবায়ন করছেন।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা ভালোমতো দেশে ফিরে এসেছেন। আর খারাপ খবর হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে কত হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি এটা বেড়ে আট হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও বাংলাদেশ মিশন নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি বলেন, নিহতদের লাশ দেশে আনতে চাইলে সে খরচ সরকার বহন করবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্টাডি ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত একেএম আতিকুর রহমান। স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বঙ্গবল্পূব্দ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন ও ডা. নুজহাত চৌধুরী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরপর থেকে আমাদের ক্রিকেট খেলোয়াড়রা বিদেশের মাটিতে খেলতে গেলে সে দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি আগে থেকেই নিশ্চিত করা হবে। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ক্রিকেটারদের পাঠানো হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই এদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক ছিল মধুর।