প্রায় দেড় যুগ ধরে দেশের ক্রিকেটে কিছু মুখ নিয়মিত। তারা এখন প্রায় সবাই-ই ক্যারিয়ার সায়াহ্নে।
সাকিব আল হাসানা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের বাইরে রেখে নিয়মিতই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কিছুদিন পর তাদের কেউই থাকবেন না স্বাভাবিকভাবে।
বড় মুখদের বেশ কয়েকজনকে ছাড়াই নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে সোমবার রাতে টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পালাবদলের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, একটা জিনিস আমি আপনাদেরকে আরেকবার বলে নেই, আমাদের কিন্তু এখন একটা ট্রাঞ্জিশন ফেজ (পালাবদল) যাচ্ছে। এই কথাটা কেউ মাথায় রাখে না। কয় বছর…এক বছর, দুই বছর, তিন বছর এরপর কিন্তু যে সমস্ত খেলোয়াড়রা আমাদের এতদিন ম্যাচ জিতিয়েছে, তারা কিন্তু থাকবে না। এটাই স্বাভাবিক। ’
‘এক বছর, দুই বছর, তিন বছর পর সম্পূর্ণ নতুন দল নিয়ে আমরা যাদের সঙ্গে খেলি এখন, এ সমস্ত দলের সঙ্গে খেলা কি সম্ভব? পারবে না তো! কাজে এই সুযোগটা যদি ওরা কাজে লাগাতে পারে, সেটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। এখন থেকে যখন যে সুযোগ পাবে সে যেন এটা কাজে লাগায়। এই চেষ্টাটাই করা হচ্ছে। ’
কয়েক বছর পর বড় মুখদের অনুপুস্থিতিতে বাংলাদেশকে যেন ভুগতে না হয়, এজন্যই এখন নতুনদের তৈরি হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি; এমনটি জানান পাপন। তিনি বলছেন, উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোর মতো ৩-৪ বছর ধরে ভুগতে চান না তারা।
পাপন বলেন, ‘যার জন্য অনেকে অনেক সময় বলে এ নাই কেন, এ আসলো কেন, ওকে কোত্থেকে ডাকা হলো। এগুলো একটু চলবে এখন। চলবে এই কারণে আমরা যখন নাকি তামিম, মুশফিক, সাকিব, রিয়াদের মতো খেলোয়াড়রা থাকবে না; তখন হঠাৎ করে আমরা চাই না তিন চার বছর লাগুক অন্যান্য দেশগুলোর মতো। মানে আমাদের উপমহাদেশের, আমি বাইরের কথা বলছি না। ’
‘অনেক দেশ আছে তিন-চার বছরেও ওরকম দল গড়ে তুলতে পারেনি। আমাদের যেন ওই সময়টা না লাগে, এক-দেড় বছরের মধ্যে আমরা যেন ভালো দলে পরিণত হই। ’