করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (এনপিপি) বাস্তবায়নের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক এই প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি প্রায় ছয় হাজার কর্মী নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুসারে সব ধরনের সতর্কতা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আগাম সতর্কতার জন্য রুশ কর্মী ও প্রকৌশলীদের মধ্যে যারা বয়স্ক ব্যক্তি ও নারী রয়েছেন, এমন একটি দল গত সোমবার দেশে ফিরে গেছেন। এখনও প্রায় দুই হাজারের বেশি বিদেশি কর্মী প্রকল্পটিতে কাজ করছেন।
রাশিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে সর্বাপেক্ষা নিরাপদ ও সর্বাধুনিক থ্রি প্লাস জেনারেশনের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর। ২০২৩ সালের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজের নিরাপত্তা নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, ইতোমধ্যে প্রথম ইউনিটের ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণসংশ্নিষ্ট যাবতীয় কাজ আগের মতোই চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও রূপপুরে রাশিয়ানসহ প্রায় দুই হাজার বিদেশি কর্মী কাজ করছেন। বাংলাদেশি মিলে প্রায় ছয় হাজার কর্মী শিফট অনুযায়ী কাজ করেন। করোনার মধ্যে নিয়মনীতি মেনেই কাজ চলায় কোনো প্রভাব পড়েনি।