জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ‘শত শত কোটি টাকার পণ্য’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে নেওয়া জালিয়াত চক্রটিকে চিহ্নিত করা বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। ইতিমধ্যে চক্রটি চিহ্নিত করা হয়েছে।
“তাদের সংশ্লিতার নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে, মামলা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম কাজ করছে।”
এনবিআরের সার্ভারে অনুপ্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের ঘটনা তুলে ধরে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সরকারি আইডি ও পাসওয়ার্ড চুরি করে পণ্য পাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই সার্ভারের অবৈধ ব্যবহার করেছে। আর এ সময়ে চক্রটি শত শত কোটি টাকার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করে নিয়েছে।
শহিদুল জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের ঘটনায় রমনা থানায় গত ১৬ জানুয়ারি একটি মামলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ৩০টি কনটেইনার ছাড় করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
“পণ্য খালাসে জড়িত দুইটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মালিককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মো. মিজানুর রহমান চাকলাদার ওরফে দীপু ও অপু চাকলাদার।”
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের তদন্ত দলের প্রধান আবদুল হাকিম বলেন, “এই ঘটনায় ২২টি পণ্যের চালান বেরিয়ে গেছে। যেখানে ঘোষণা ছিল স্টিল জাতীয় পণ্যের।
“তবে কি জাতীয় পণ্য বেরিয়ে গেছে তা এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অভিযোগ রয়েছে সিগারেট ও মাদক জাতীয় পণ্যের। আরও পণ্য এভাবে বেরিয়ে গেছে কিনা তা তদন্ত শেষে বলা যাবে।”
জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের ঘটনা আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে কমিটি ছাড়াও আরও তিনটি কমিটি কাজ করছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম।
এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তদন্ত কমিটির প্রধান কমিশনার (আপিল) ফখরুল আলম, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) কমিটির প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসের গঠিত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান।