প্রতিপক্ষ ছিল কঠিন। বিশ্বকাপে খেলা উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ ক্লাব। তবে এ ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর অতীত ইতিহাস ছিল উজ্জ্বল। আবাহনী সে অতীত ইতিহাসকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেল। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আকাশি নীল শিবির জয় তুলে নিয়েছে ৪-৩ গোলে।
উত্তর কোরিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব এই এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। লিগ জিতেছে ১৮ বার। সবচেয়ে বড় কথা, উত্তর কোরীয় ফুটবলের ঐতিহ্যকে দারুণভাবেই ধারণ করছে দলটি। এ দলের বিপক্ষে জয় পাওয়া খুব সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়। আবাহনী এই অসাধারণ জয়টি তুলে নিয়েছে দুর্দান্ত খেলেই। শুরু থেকে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের রক্ষণের ওপর চাপ তৈরি করে গোল বের করে নিয়েছে। তবে রক্ষণ দুর্বলতা না থাকলে জয়ের ব্যবধানটা বাড়তে পারত। আজকের ম্যাচে যদি আবাহনীর কোনো আক্ষেপ থেকে থাকে, তাহলে এটিই।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে সোহেল রানার দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে সোহেলের করা গোলটি ছিল দর্শনীয়। এর দুই মিনিটের মাথাতেই অবশ্য এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে। গোল করেন চো জোং। বক্সের মাথা থেকে আবাহনীর রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়ে করা এ গোলটিও ছিল দারুণ। ৩৭ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবন এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের রক্ষণভাগকে বোকা বানান। অফ সাইডের ফাঁদ ফাঁকি দিয়ে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল ধরে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে। গোল করেন রিম চোল। কিন্তু আবাহনীর নাইজেরীয় স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা ৫৭ ও ৬১ মিনিটে পরপর দুই গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে নেন ৪-২ গোলে।
ম্যাচের শেষ দিকে আবাহনীর রক্ষণে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। ৭৭ মিনিটে ব্যবধান কমান পাক সং রক। উত্তর কোরীয়রা ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে কিনা, গ্যালারি জুড়ে এ উৎকণ্ঠা থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারদের ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে আবাহনী। আজ থেকে ৩১ বছর আগে এই ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডান জিতেছিল এশিয়ান ক্লাব কাপে। আজ আবাহনী জিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বলে দিল, দেখ আমরাও পারি।
আগামী ২৮ আগস্ট পিওংইওনে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।