পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে খালেদা জিয়ার সাক্ষাত পাচ্ছেন না দলীয় নেতাকর্মীরা। এমনটাই জানা গেছে বিএনপি সূত্রে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে ২৫ মাস কারাগারে ও কারা হেফাজতে হাসপাতালে কাটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দিন। সে কারণে ২০১৮ সালের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার সুযোগ হয়নি তার। যা তিনি বহু বছর ধরে করে আসছিলেন। এরপর ২০১৯ সালেও একইভাবে কারাগারে থাকার কারণে দুটি ঈদ কাটে শুভেচ্ছা বিনিময় না করেই।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য সাজা স্থগিত করা হয় খালেদা জিয়ার। মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসায় ওঠেন তিনি। সরকারের পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয় নিজ বাসায় থাকতে হবে। বিদেশে যেতে পারবেন না, একই সঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ( বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। ফলে গত চার মাস তিনি বাসায়ই অবস্থান করছেন।
এরমধ্যে ঈদুল ফিতর কেটে গেছে। তবে গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দেশের চিত্র পাল্টে যায়। যে কারণে ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকেন খালেদা জিয়া। এই সময়ের মধ্যে কাউকে সাক্ষাত দেননি তিনি।
এর মধ্যে শুধু তার চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুন তার সাক্ষাত পেয়েছেন। তারা মূলত তার চিকিৎসার জন্যই বাসায় যাওয়া আসা করেন। এছাড়া তার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম ও ভাই-বোনের পরিবারের সদস্যরাই শুধু সাক্ষাত পেয়েছেন খালেদা জিয়ার।
মুক্তি পাওয়ার টানা ৪৮ দিন পর প্রথম সাক্ষাত পান দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ১২ মে ও ১৪ জুন দুই দফা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস কয়েকবার সাক্ষাত করেছেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। একবার সাক্ষাত পেয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
করোনা পরিস্থিতি এখনও তেমন উন্নতি হয়নি। সুতরাং এ অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা এবার ঈদেও খালেদা জিয়ার সাক্ষাত পাচ্ছেন না বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাতে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের ঈদেও দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে (খালেদা জিয়া) নেতাকর্মীদের সাক্ষাতের কোনো সুযোগ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, গত ঈদুল ফিতরের দিন যেভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘরোয়া পরিবেশে ঈদ পার করেছেন, এবারও একইভাবে ঈদের দিন পার করবেন খালেদা জিয়া।