করোনার তাণ্ডবে পর্যুদস্ত সারা বিশ্ব। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের ছোবলে দেশে দেশে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, মহামারি, ক্ষুধা আর মন্দা। কোনো প্রতিষেধক উদ্ভাবিত না হওয়ায় এখন পর্যন্ত এর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া মানুষের আর কিছুই করার নেই। তবে এ ভাইরাস নির্মূলের ওষুধ উদ্ভাবনে থেমে নেই বিজ্ঞানীরা। বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য প্রায় একশ’ গবেষণা চলছে করোনার টিকা উদ্ভাবনে। বেশিরভাগ দেশই টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত গবেষণাগার পর্যায়ে থাকলেও, কিছু কিছু দেশ অভাবিত দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়ে এরই মাঝে মানব শরীরে করোনার টিকা পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে।
এবার সেই গুটিকয়েকের দলে যোগ দিলো করোনা মোকাবিলায় ইউরোপের সফলতম দেশ জার্মানি। বরাবরই জার্মানির চিকিৎসা ও গবেষণাখাত বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের করোনা মহামারিতেও দেশটি এ খাতে নিজের জাত চিনিয়েছে। ফলে সার্বিক প্রেক্ষাপটেই জার্মানি যখন মানব শরীরে সম্ভাব্য করোনা টিকার পরীক্ষা চালায় তা বিশেষ আগ্রহের ব্যাপার। হতে পারে তারাই মানব জাতিকে উপহার দেবে বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা।
বুধবার (২২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, এরই মাঝে মানব শরীরে সম্ভাব্য করোনা টিকার গবেষণা চালাতে অনুমোদন দিয়েছে জার্মানির ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। জার্মানির বায়োটেক কোম্পানি ‘বায়োএনটেক’ এ ভ্যাকসিনের গবেষণা চালাচ্ছে।
খবরে বলা হয়, করোনার টিকা উদ্ভাবনে চতুর্থ দেশ হিসেবে মানব শরীরে গবেষণা চালাতে যাচ্ছে বায়োএনটেক। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ২শ’ মানুষের ওপর সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে গুরুতর করোনা রোগীদের ওপরও এটি প্রয়োগ করা হবে।
বায়োএনটেকের সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনের নাম ‘বিএনটি১৬২’। পিফিজার নামে আরেকটি ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা চালাবে প্রতিষ্ঠানটি।