এবার ‘সুষ্ঠু ভোটের’ আশায় সিইসি নূরুল হুদা

KM-Nurul-Huda

পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৫৫ পৌরসভায় ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, এবার গোলযোগ ছাড়াই ‘সুষ্ঠু ভোট’ হবে বলে তিনি আশাবাদী।

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব পৌরসভায় ভোট হবে।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, এ ধাপে ২৫ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোট হবে, বাকিগুলোয় ইভিএমে হবে ভোট। ইভিএমের নির্বাচনী এলাকায় মক ভোটিং হবে। যেসব এলাকায় ব্যালট পেপারে ভোট হবে সেখানে ভোটের দিন সকালে বালট পাঠানো হবে।

ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, প্রতিটি জায়গায় র‍্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্যরা আছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৮ জন আর্মড পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত থাকবে। তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনাররা কথা বলেছেন।

“আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রাখি। আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার আমরা সব ঠিকভাবে দেখেছি। আশা করি, অন্তত এরপর থেকে যে নির্বাচন হবে, ভালো হবে-সুষ্ঠু হবে; সংঘাত-সংঘর্ষ হবে না।”

তবে পৌর ভোটে সহিংসতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, নির্বাচনে সহিংসতা ও আচরণবিধি লংঘনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, চতুর্থ ধাপের পৌরসভাগুলোয় মেয়র পদে ২২৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২০৯৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২৯ জন প্রার্থী আছেন। এসব পৌরসভায় ৮০২টি ভোট কেন্দ্র ও ৪৯২৭টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটার রয়েছেন ১৭০০৬২৪ জন।

চতুর্থ ধাপের এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের টিম, প্রত্যেক পৌরসভায় গড়ে দুই প্লাটুন বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থাকছেন।

এছাড়া কিছু পৌরসভায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্দিষ্ট হারের চেয়ে অতিরিক্ত র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরে সোনাইমুড়ি ও ত্রিশাল পৌরসভা এ ধাপে যুক্ত হয়। অপরদিকে হাই কোর্টের আদেশে নাটোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধের পর ফের তা চালু হয়। আবার মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ভোট স্থগিত করে কমিশন।

সব মিলিয়ে এখন ৫৫টিতে ভোট হতে যাচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন করছে কমিশন। প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বর, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ‍এবং তৃতীয় ধাপে ভোট হয় ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে রোববার ভোট শেষে পঞ্চম ধাপের ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

Pin It