টানা সাড়ে ৯ বছর পর অবশেষে খুলল নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বন্ধ দুয়ার। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সারাদেশের ২ হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি বেতনের আওতায় এলেন। গতকালই এ ব্যাপারে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর নতুন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়।
গতকালের ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করার রেকর্ড করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন এমপিও পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল ও কলেজের সংখ্যা এক হাজার ৬৫১টি, মাদ্রাসা ৫৫৭টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫২২টি। সম্পূর্ণ নতুন স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত হচ্ছে ৬৮০টি এবং প্রতিষ্ঠানের নতুন স্তর এমপিওভুক্তি পেয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৭১টি। নতুন এই এমপিওভুক্তির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে মোট ৮৮১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ল। এরমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ব্যয় বাড়বে প্রায় ৪৫১ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ৪৩০ কোটি টাকা।
বর্তমানে সারাদেশের এমপিওভুক্ত ২৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা বাবদ সরকার বছরে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে।
এমপিওভুক্তি ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সব নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে। কেউ যদি ধরে রাখতে ব্যর্থ হন, সঙ্গে সঙ্গে তার এমপিওভুক্তি বাতিল হবে। এমপিওভুক্তি হয়ে গেছে, বেতন তো পাবই, ক্লাস করানোর দরকার কি, পড়ানোর দরকার কি, এ চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চার শর্তে এমপিওভুক্তি :নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮ অনুযায়ী আরোপিত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। সংশ্নিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা/অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন বিধি-বিধান ও সংশ্নিষ্ট পরিপত্র অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে। নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার আগে বিধিসম্মতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের অবশ্যই নিবন্ধন সনদ লাগবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে, সেগুলোর কোনোটি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে এবং পরে কাম্য যোগ্যতা অর্জন করলে এমপিও ফের অবমুক্ত করার বিষয় বিবেচনা করা হবে। যেসব তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর কোনোটি ভুল বা অসত্য প্রমাণিত হলে তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্যের সঠিকতা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর ও বেতন চালু করা হবে।
আমলে নেওয়া হয়নি এমপিদের ডিও লেটার :নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতীতে বরাবরই সংসদ সদস্য, মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। এবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। অন্যান্যবারের মতো এবারও এমপিরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার পছন্দসই প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিও লেটার জমা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তবে সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। শতভাগ নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে এমপিওভুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার কেবল ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির নীতিমালা-২০১৮’ অনুসরণ করে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নীতিমালার আওতায় আসা ‘যোগ্য’ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও এবার বাদ দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।
কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান কতটি :গতকাল নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অধীন স্কুল ও কলেজ রয়েছে ১ হাজার ৬৫১টি। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ১০৮টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণি স্তরের প্রতিষ্ঠান ৮৮৭টি, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৮টি, কলেজ (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) ৯৩টি এবং ডিগ্রি কলেজ ৫৬টি।
এ ছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন মাদ্রাসা রয়েছে ৫৫৭টি। এর মধ্যে দাখিল স্তরের মাদ্রাসা ৩৫৮টি, আলিম স্তরের ১২৮টি, ফাজিল স্তরের ৪২টি ও কামিল স্তরের ২৯টি মাদ্রাসা রয়েছে।
পাশাপাশি নতুন এমপিওভুক্ত হয়েছে ৫২২টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কৃষিবিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬২টি, ভোকেশনাল (স্বতন্ত্র) ৪৮টি, সংযুক্ত ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ১৭৫টি এবং বিএম সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান ১০৮টি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে সরকার থেকে তাদের মূল বেতন ও কিছু ভাতা পেয়ে থাকেন।
অযোগ্য প্রতিষ্ঠান ৪৪৯০ :সারাদেশের ৬ হাজার ২৪১টি প্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছিল। তার মধ্যে ৪ হাজার ৪৯০টি প্রতিষ্ঠানই অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। চারটি ক্যাটাগরিতে এবার এমপিওর মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল। প্রতিটি মানদণ্ডের নম্বর ধরা হয় ২৫। এভাবে মার্কিং করে এবারের প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন করা হয়েছে।
সারাদেশের এক হাজার ৯৬৭টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আবেদন করে মাত্র ৪৩৮টি যোগ্য নির্বাচিত হয়েছে। একইভাবে ২ হাজার ৭৩৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আবেদন করে এক হাজার ৫টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ৮৮০টি আবেদন করে ১৬১টি এবং ডিগ্রি কলেজ ৫৫৪টি আবেদন করে মাত্র ৯৩টি যোগ্য নির্বাচিত হয়েছে।
স্বীকৃতি পেতে জালিয়াতির অপচেষ্টা :জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হওয়ার প্রচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এবার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এমপিওভুক্ত হতে তারা অসত্য তথ্য দিয়েছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, জালিয়াতির ঘটনা বেশি ঘটেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে। এমপিওভুক্ত করার আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ ধরনের প্রায় ৪০টি ঘটনা ধরা পড়েছে। সেগুলোকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে, সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ বা ২০১৭ সালে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ অনলাইনে করা আবেদনে স্বীকৃতির পরিপত্রের তারিখের স্থানে ঘষামাজা করে ইমেজ আকারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্বীকৃতির তারিখ ২০১৩ সালে বা তারও আগে দেখানো হয়েছে। সিনিয়র সচিব বলেন, প্রজ্ঞাপন হওয়ার পরই নতুন এমপিওভুক্তদের বেতন চালু হবে না। আগে কাগজপত্র যাচাই করা হবে। এমপিওভুক্ত হওয়ার পরও যদি ভবিষ্যতে কোনো প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য অসত্য ও ভুল প্রমাণিত হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে এমপিও বাতিল করা হবে।
সুবিধাভোগী শিক্ষক কম :২০১০ সালের তুলনায় এ বছর এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় সুবিধাভোগী শিক্ষকের সংখ্যা বেশি বাড়েনি। এর মূল কারণ, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় কম এমপিওভুক্তি। এবার পুরোনো এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্তর পরিবর্তন (যেমন নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত) ঘটেছে বেশি। এতে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা বেড়েছে খুবই কম। কারণ কোনো নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কোড পরিবর্তনের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হলে মাত্র দু’জন শিক্ষক অতিরিক্ত এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পান। এ বিষয়ে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘এবারের এমপিওভুক্তিতে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়ে গালভরা বুলি আওড়ানো হলেও বাস্তবে সুবিধাভোগী শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার।’
নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১৬ জুন। সেবার সারাদেশের এক হাজার ৬০৯টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্ত করা হয়। প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী সে সময় সরকারি বেতনের আওতায় এসেছিলেন।
কত টাকা খরচ হবে :নতুন ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করায় সরকারের বার্ষিক প্রায় ৮৮১ কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়বে। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনে এবার ১ হাজার ৬৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বার্ষিক ৪৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা ব্যয় হবে। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, এরপরও মন্ত্রণালয়ের হাতে ৪১৪ কোটি ১৬ লাখ ২২ হাজার ৫৪৯ টাকা থাকবে, যা দিয়ে এই অর্থবছরেই যাচাই-বাছাই করে আরও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিটি ডিগ্রি কলেজ এমপিওভুক্ত করতে বছরে লাগে ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে লাগে ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা, আর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাগে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার ১৮০টি। এর মধ্যে স্কুল ১৬ হাজার ১৯৭টি, কলেজ দুই হাজার ৩৬৫টি ও মাদ্রাসা সাত হাজার ৬১৮টি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ সরকার প্রতি মাসে ৯৪১ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার ৭১১ টাকা ব্যয় করছে। এখন এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো আরও ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষক নেতাদের বক্তব্য :প্রবীণ শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, এটি সরকারের খুবই ভালো পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রীকে অসংকোচে অভিনন্দন জানাই। এবার নিয়ম-নীতির মধ্যে এমপিও দেওয়া হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ঘটনা। তিনি বলেন, ইউনেস্কো ও আইএলওর সনদ অনুসারে, শিক্ষকদের ক্যারিয়ার পাথ বা পদসোপান তৈরি করে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এতে শিক্ষার মানও বাড়বে।
তবে এমপিওভুক্তির দাবিতে গত সাড়ে ৯ বছর রাজপথে আন্দোলনকারী সংগঠন ‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনে’র সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, তারা চেয়েছিলেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি। অথচ তা হয়নি। তিনি বলেন, সারাদেশের ৬ হাজার ১৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ থেকে ৮০ হাজার শিক্ষক এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্তে ১০ থকে ১২ হাজার শিক্ষক এমপিও সুবিধা পেলেন। বাকি ৬০-৬৫ হাজার শিক্ষকই বঞ্চিত থেকে গেলেন।