বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ব্যতীত বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর গতি ধীর হয়েছে।সোমবার রাতে বৈশ্বিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা এখনও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল রয়েছে। গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনায় ৩৯ হাজার ২৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে; যার ৬২ শতাংশই আমেরিকায়। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্রের।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ। এতে মারা গেছেন ৮ লাখ ১১ হাজারের বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গত ২৩ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনায় ১৭ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত এবং ৩৯ হাজারের বেশি মারা গেছেন। এতে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪ শতাংশ সংক্রমণ ও ১২ শতাংশ মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে।
করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এক সপ্তাহে এই অঞ্চলে করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েছে যথাক্রমে ২৮ ও ১৫ শতাংশ। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ সংক্রমণ এবং মৃত্যু ঘটছে ভারতে। তবে দ্রুতগতিতে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটছে নেপালেও।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই অঞ্চলে করোনায় মৃত্যু টানা ছয় সপ্তাহের মতো কমে এসেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় লেবানন, তিউনিশিয়া ও জর্ডানে সংক্রমণ সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু গত সপ্তাহে যথাক্রমে ৮ এবং ১১ শতাংশ হারে কমেছে। আলজেরিয়া, কেনিয়া, ঘানা, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমণ কমে এসেছে।
ইউরোপীয় অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ টানা তিন সপ্তাহ ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত সপ্তাহে এই অঞ্চলে সংক্রমণ মাত্র এক শতাংশ কমেছে। ইউরোপে করোনায় মৃত্যু ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে করোনায় নতুন সংক্রমণ কমেছে ৫ শতাংশ। প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপ এই অঞ্চলের জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন এবং ভিয়েতনামে কমছে। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া; দেশটিতে গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ১৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
