ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের শিল্পের (এসএমই) পাঁচটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো- সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, নীতি ও নিয়ন্ত্রকের সমস্যা, অর্থায়ন, অবকাঠামো এবং দক্ষতা। এগুলোর সমাধানে কার্যকর দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন, আর্থিক ও নীতি সহায়তা প্রদান, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রম আইনের সংশোধন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া জরুরি।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে।
ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান প্রমুখ। সেমিনারে গবেষণা সংস্থা সানেম’র নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০ শতাংশ। যদিও এ খাত নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি। এ সমস্যা নিরসনে নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এসএমই খাতে জামানতবিহীন ঋণ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এ বিষয়ক তথ্যাদির যথাযথ প্রচার-প্রচারণার অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এসএমইদের সার্বিক সহায়তা নিশ্চিতকল্পে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’-এর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। এছাড়া এসএমইদের রপ্তানির পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান নির্ধারিত শুল্ক হার হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
মূলপ্রবন্ধে ড. সেলিম রায়হান বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা প্রধানত সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, আর্থিক ও নীতি সহায়তা, যথাযথ অবকাঠামো এবং দক্ষ মানবসম্পদের স্বল্পতার মুখোমুখি হবেন। এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।