এসএমই মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

image-138244-1716103301

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাত দিনব্যাপী ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলার উদ্বোধন করেছেন।

আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মেলায় তিন শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন। মেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তা।

এসএমই মেলায় ১০০ শতাংশ দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এবারের মেলায় সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বেশ কিছু ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের হাতে ক্রেস্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন সার্টিফিকেটসহ জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ হস্তান্তর করেন।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মোঃ মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।

পুরষ্কার প্রাপ্তদের মধ্যে স্বপ্না রানী সেন জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এবারের মেলায় পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া ৪২ টি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য, ৩৮ টি প্রতিষ্ঠান হস্তশিল্প, ৩২ টি প্রতিষ্ঠান চামড়াজাত পণ্য এবং ২৭ টি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য প্রদর্শন করবে।

এছাড়াও ২৩টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ১৪টি খাদ্য পণ্য, ১৩টি আইটি-ভিত্তিক পরিষেবা, ১২টি এসএমই ক্লাস্টার উদ্যোক্তা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় অংশ নেবে, ৫টি ভেষজ শিল্পের পণ্য এবং ৫টি প্রতিষ্ঠান গয়না পণ্য প্রদর্শন করবে।

চারটি স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, ৩টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সেক্টর, ৩টি আসবাবপত্র এবং ১৯টি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবে।

এছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব এবং প্রায় ৫০টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান করবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এসএমই বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করবে।

উইন্ডি টাউন হলে সহজ অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি, আইসিটি এবং ক্লাস্টার উন্নয়ন বিষয়ে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে এবং শিল্পায়নকে পরিবেশবান্ধব করতে শিল্প-কারখানা নির্মাণে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শিল্প আমাদের গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবশ্যই সকলকে করতে হবে এবং সেটা মেনে নিতে হবে। সামান্য একটু কেমিক্যাল ব্যবহারের ওই পয়সাটা বাঁচাতে যেয়ে দেশের সর্বনাশ,সাথে সাথে নিজের সর্বনাশটা কেউ করবেন না- সেটা আমার অনুরোধ থাকলো।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য (এসএমই) মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

আমাদের দেশ ‘ভৌগলিক সীমারোখায় ছোট এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে বড়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের দেশের পরিবেশ ও সবকিছু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হওয়া উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত। সাথে সাথে জলবায়ুর অভিঘাতে যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই সেদিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা আমাদের শিল্পখাতকে আরো পরিবেশবান্ধব করতে চাই। কারণ শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, যারা যেখানেই কোন শিল্প গড়ে তুলবেন সেখানে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনার এই শিল্পের এই বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে, আমাদের পানি যেন কোনভাবে দূষণ না হয়, মাটিতে দূষণ যেন না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব আনন্দিত কেননা আজকের এসএমই পণ্য মেলায় দেখা যাচ্ছে উদ্যোক্তা ৬০ শতাংশই নারী।
তিনি নারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সমাজের একটা অংশকে বাইরে রেখে সেই সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের দেশের নারী-পুরুষ সকলকেই যদি আমরা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করতে পারি তাহলে সমানভাবে দেশটা দ্রুত উন্নত হবে। এজন্য নারী উদ্যোক্তা আমাদের দরকার।
যেহেতু শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশন থেেেক নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে পুরুষরা ঘরের নারীদের (স্ত্রী-কন্যা-বোন) নামে, তাদের সঙ্গে নিয়ে এখানে যুক্ত হতে পারেন বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘কেননা অন্যত্রতো আর ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে না। কাজেই পুরুষরা বিশেষ করে আমাদের যুব সমাজ এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ আমরা চাই আমাদের শিল্পখাতে আরো উদ্যোক্তার সৃষ্টি হোক’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-০৮ অর্থবছরের জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি সুচকে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭শ’ ৯৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা বিএনপির শাসনামলে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ছিল মাত্র ৫শ ৪৩ মার্কিন ডলার।
কোভিড-১৯ অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে ঘিরে স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশনের বিরূপ প্রভাবে বিশ^ অর্থনীতির মন্দাভাবে মূল্যস্ফীতি না ঘটলে এটাকে আরো উন্নতি করা যেত বলেও তিনি অভিমত দেন। এরসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩’ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মো. মাসুদুর রহমান। ২০২৩ সালের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এসএমই উদ্যোক্তাদের পক্ষে ’রংপুর ক্রাফটস’ এর স্বত্ত্বাধিকারি স্বপ্না রানী সেন অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ২০২৪ থেকে ২০২৮ কর্মপরিকল্পনার ওপর রচিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে ‘এসএমই মেলা ২০২৪’ এর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
এবারের মেলায় অংশ নেওয়া সাড়ে তিন শ’র বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
আগামী ২৫ মে শনিবার পর্যন্ত চলমান এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তাঁর সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মান করায় আজকে পদ্মার ওপারেও বিশাল কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মার ওপারে যে জেলা বা ইউনিয়নগুলো রয়েছে সেখানকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানেও বিনিয়োগের বিরাট সুযোগ এসে গেছে। এসব এলাকায় ‘এসএমই’ (ফাউন্ডেশন) আরো বেশি কাজ করতে পারে এবং এখানে অনেক উদ্যোক্তার সৃষ্টি করতে পারেন।
তিনি শিল্পক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে আমাদের আরো উদ্যোক্তা এবং কাজের লোক প্রয়োজন পড়বে। আমাদের দেশের মানুষকে কাজ দিতে হবে।
তিনি বলেন,‘আমরা যখন পদক্ষেপ নেব সে সময় বিশেষ করে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে খেয়াল রাখতে হবে যে শ্রমঘন শিল্প যেন আমাদের দেশে গড়ে ওঠে।’
শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বিষয়ে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। আপনি যদি বেশি কাজ চান তাহলে তাদেরকে সেই কর্মপরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু হুকুম দিয়ে হয়না। হুকুম দিয়ে যা অর্জন করতে পারবেন, ভালবাসা দিয়ে পারবেন তারচেয়ে অনেক বেশি। আস্থা-বিশ^াস অর্জন করে আরো বেশি আপনি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। সেদিকে অবশ্যই সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।’
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেটা তাদের (নারী) গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নারীদের আরো বেশি উদ্যোক্তা হতে হবে।
বিশেষ করে যাতে সকলে (নারী-পুরুষ) যৌথভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।
তাঁর সরকার এ বছর ‘হস্তশিল্প’কে বর্ষ্যপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হস্তশিল্পের ব্যবহারের প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সুপ্ত মেধা বিকষিত হবার একটি সুযোগ লাভ করে। সেজন্যই তাঁর সরকার একে বেশি সুযোগ দিচ্ছে। বিদেশে এর আলাদা কদর রয়েছে। কাজেই রপ্তানী বহুমুখিকরণ করার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য দারিদ্র বিমোচন করে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি রেখে তাঁর সরকার অর্থনৈতিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন,এসএমই খাতের উন্নয়নে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি উন্নত বিশে^ ভোক্তাদের চাহিদানুযায়ী শতভাগ রপ্তানীমুখি পণ্য উৎপাদনে আরো মননিবেশ করতে হবে। কেননা এখন ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির যুগ। সে ভাবেই বহি:বিশে^ আমাদের দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানকার চাহিদানুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার প্রচেষ্টা এবং বিনিয়োগ নিয়ে আসার প্রচেষ্টার ওপরও জোর দেন তিনি।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশবাদ ব্যক্ত করেন, এই এসএমই পণ্য মেলার মাধ্যমে দেশের মানুষেরা আরো জানতে পারবে এবং উৎসাহিত হবে। আরো উদ্যোক্তা তৈরী হবে এবং এই মেলার মাধ্যমেই আমাদের এসএমই ফাউন্ডেশন আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ফলে বিদেশে পণ্য রপ্তানী আরো বাড়ানো সম্ভব হবে এবং দেশেও আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন,‘আমার বিশ^াস দেশীয় এসএমই শিল্পের উন্নয়নে এই মেলা ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক মাত্রা পাবে এবং এরফলে দেশীয় পণ্যের প্রসারও ঘটবে। নতুন নতুন শিল্প স্থাপন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বলেও আমি বিশ^াস করি।’
তিনি বলেন,আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যারা তাদের প্রতিই আমি মনে করি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ তারাই একসময় বড় শিল্পে পরিণত হবে।
Pin It