এসএসসি ও এইচএসসিতে এবার ৩ বিষয়ে পরীক্ষা

image-262616-1627314581

করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির কারণে এবার এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যসহ অন্যান্য গ্রুপ) তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হবে।

সোমবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমন ইঙ্গিতই দিয়ে বলেছিলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যথাক্রমে নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ জনিত অতিমারীর কারণে এ বছর ২০২১ সালের এ পরীক্ষায় তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হবে।

আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

তবে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে জেএসসি/সসমান ও এসএসসি সমমান পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ করে আবশ্যিক বিষয় এবং চতুর্থ বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ের নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে। ফলে এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডের চতুর্থ বিষয় পরিবর্তন বা সংশোধনের সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে।

এভাবে নম্বর বণ্টনে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও এই সময়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফেরানো যায়নি।

ফলে মহামারীকালে কোনো পাবলিক পরীক্ষায়ও বসতে পারেনি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

গত বছর মহামারীর আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এবছরের পরীক্ষার বিষয়ে গত ১৫ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে গ্রুপভিত্তিক শুধুমাত্র ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর পরীক্ষার সময় ও নম্বর দুটিই হ্রাস করে পরীক্ষা গ্রহণ করতে আমরা পারব বলে আশা করছি।”

Pin It