কারাতের নারী একক প্রতিযোগিতা থেকে আরও একটি সোনার পদক পেল বাংলাদেশ। নেপালের প্রতিযোগীকে উড়িয়ে কুমিতে সেরা হয়েছেন হুমায়রা আক্তার অন্তরা। পেলেন অনেক ত্যাগ স্বীকারের ফল।
কাঠমান্ডুর সাতদাবাতোর ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার নারী একক অনূর্ধ্ব-৬১ কেজি ওজন শ্রেণিতে নেপালের অনু গুরুংকে ৫-২ পয়েন্টে হারান অন্তরা।
এসএ গেমসের ক্যাম্পের জন্য এবার বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেননি অন্তরা। তবে সোনা জিতে সব দুঃখ ভুলে যাচ্ছেন তিনি।
“আমি যখন থেকে কারাতে শুরু করেছি, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জয় করা। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি এ খেলাটার জন্য অনেক সেক্রিফাইস করেছি। ভার্সিটির পরীক্ষা ছিল সেটা মিস করেছি, মেডিকেল পরীক্ষাও দিতে পারিনি। কারন ক্যাম্পে ছিলাম। হয়তো ভালো ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারতাম। সেই স্বপ্নটা আমার এ বছর পূরণ হয়নি। তবে আগামিতে অবশ্যই চেষ্টা থাকবে।”
“আল আমিন আর মারজানের স্বর্ণপদক দেখেই আমি অনুপ্রানিত হয়েছি। আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল যে আমিও পারব। এ জয়টা আমি দেশকে উৎসর্গ করলাম। আমি কাল থেকে অনেক কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমার দ্বারা হবে কি না-সে ভাবনা কাজ করছিল।”
“যখন ম্যাটে উঠি, তখন আমার দেশের পতাকার কথা মনে হয়েছিল। জাতীয় সঙ্গীত বাজবে। আমি চেয়েছি দেশের পতাকা উপরে তুলতে।”
“২০১০ সালে বিপাশা আপুরা যখন পদক পায়, তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি কারাতে শেখার। আমার কাছে এ সাফল্যের কৃতিত্ব এককভাবে কারো কৃতিত্ব নয়, সবাই কষ্ট করেছে। বিশেষ করে আমার কোচরা, বাবা-মা, টিম অফিসিয়ালরা সবাইকে ধন্যবাদ। আমার চেয়ে বেশি স্বপ্ন তারা দেখেছে। তাই সবাই আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছিল, সেই বিশ্বাস আমি পূরণ করতে পেরেছি তাতেই আনন্দিত।”
এবারের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) এই নিয়ে বাংলাদেশ জিতল মোট ৪টি সোনা। অন্তরার আগে মঙ্গলবার কারাতের নারী একক অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেরা হন মারজান আক্তার প্রিয়া। আর পুরুষ একক অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতেন আল আমিন। সোমবার তায়কোয়ান্দো থেকে সোনার পদক জেতেন দিপু চাকমা।