বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকারের আমলে সবাই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। কেউ ভালো নেই। শুধু বিরোধী দল নয়, ভিন্নমতাবলম্বী সবার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করেছে এ সরকার। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীর নামে শত শত মামলা রয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার নামে, তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নামে মামলা রয়েছে। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ।
শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকার বিভিন্ন থানার মসজিদে মসজিদে এবং বাদ আসর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার রোগমুক্তির জন্য মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সাদেক হোসেন খোকার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, অন্তর থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা খোকার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করি, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দোয়া করি। কায়মনোবাক্যে অন্তর থেকে সাদেক হোসেন খোকার আরোগ্যের জন্য দোয়া চাই। দেশের সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের চলমান আজাব থেকে যেন মুক্তি পাই তার জন্য দোয়া চাই।’
তিনি বলেন, গত ২৯ অক্টোবর সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তখন তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। শুধু বললেন– তার জন্য যেন সবাই দোয়া করে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘সাদেক হোসেন খোকার অসুস্থতার খবরে সবাই মর্মাহত হয়ে পড়েছি। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবো– তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। কারণ দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে এই অন্ধকার সময়ে তার মতো একজন সাহসী ও দেশপ্রেমিক নেতা ও বলিষ্ঠ সংগঠক ভীষণ প্রয়োজন।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও বক্তব্য দেন।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক এহসানুল হক মিলন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মী অংশ নেন। এছাড়া নিচতলার ফুটপাত ও সড়কে সহস্রাধিক কর্মী-সমর্থকও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।