আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘জাতীয় সংলাপ’ নিজেদের ধস নামানো পরাজয়ের পর মুখ রক্ষার প্রচেষ্টা। এটি রাজনৈতিক আলোচনায় টিকে থাকার তাদের নতুন বাহানা।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ সফল করতে এই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় যেমন ধস নামানো বিজয়, তেমনি ঐক্যফ্রন্টের পরাজয় ধস নামানো পরাজয়। মুখ রক্ষা ও কর্মীদের বোঝানোর জন্য কিছু একটা করতে হয়। সেজন্য ‘জাতীয় সংলাপ’ বলে নতুন বাহানা তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিজেদের মুখ রক্ষা ও রাজনৈতিক আলোচনায় টিকে থাকার জন্য এই জাতীয় সংলাপের কথা বলছেন তারা। আর তাদের এই জাতীয় সংলাপের সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপি নেই। শুরুতেই অনৈক্য। আসলে রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্যই তাদের এই ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তারা (বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট) আইসিইউতে চলে গেছে। এখন কিছু সংগঠন তাদের অক্সিজেন দিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। যেমন টিআইবি নির্বাচন নিয়ে এখন মনগড়া তথ্য দিচ্ছে। নির্বাচনে টিআইবি’র কোনো পর্যবেক্ষক না থাকলেও তারা কারচুপির অভিযোগ তুলছে। আসলে তাদের টিকিয়ে রাখতে এটা টিআইবির ব্যর্থ চেষ্টা।
শনিবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয় হয়েছে। পরপর তিনবারের এই বিজয়, উৎসব করার মতই বিজয়। কিন্তু নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশে আমরা কোনো উৎসব করিনি। শনিবারের সমাবেশে উৎসব হবে কিন্তু কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না হয়। এই বিজয়ে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের আচার-আচরণ যেন কারো বিরক্তির কারণ না হয়। এটি করতে পারলেই মানুষ আবারও আমাদের ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় নগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতারা উপস্থিত ছিলেন।