জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যে ঐক্যের ভিত্তিতে দেশের স্বাধীনতা এসেছে সেই ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের ক্ষমতার মালিকানা জনগণের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশটা জনগণের দখলেই ছিল। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে তা বেদখল হয়ে গেছে। আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশটা দখলে নিই। তবে তা নিতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে। সংবিধানের মধ্যে থেকে দেশ পরিচালনা করার জন্যই এটা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় খবর এসেছে– কারাগারে আর জায়গা নেই। এটি সুখবর। সেখানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ লোক আছে। এখন প্রস্তাব এসেছে নতুন কারাগার বানাতে হবে। তবে একটা কারাগার বানাতেও তো দুই-তিন বছর লাগে। এ সময়ের মধ্যে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই সফলতা আসবে।’
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর সরকার জনগণকে অপমান করেছে। আর ডিএনসিসি নির্বাচনে জনগণ সরকারের গালে থাপ্পড় মেরেছে। তবে এখন শুধু থাপ্পড় দিয়েই নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়া যাবে না। এর জন্য আন্দোলনে নামতে হবে। তাদেরকে বিদায় করতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় পতকা উত্তোলন দিবস না হলে দেশের স্বাধীনতা ইতিহাস হতো না। এ রকম দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা উচিত। তবে রাষ্ট্র এখন এমন একপর্যায়ে চলে গেছে, স্বাধীনতা-সংগ্রাম এক ব্যক্তিকেন্দ্রীক হয়ে পড়েছে। এটা পৃথিবীর কোনো দেশের ইতিহাসে নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তার বক্তব্যে এটাই প্রমাণ হয়েছে, দেশের পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই তিনি ধ্বংস করেছেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করেন, ডিএনসিসির ভোটে কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে– আওয়ামী লীগ মেধাশূন্য, কর্মীশূন্য ও মানুষের ভালোবাসাশূন্য।
জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ গোফরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ।