ওজন কমাতে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের পন্থা

food-plate-reuters-230421-01

বাড়তি ওজন কমাতে খাবারের পরিমাণের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি খাবারের পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়।

আর এই পরিমাণের হিসাব করতে গিয়ে অনেকেই ভুল করেন। কোনো একবেলায় হয়ত বেশি খাওয়া হয়, কোনো বেলায় কম।

ভারসাম্যহীনতার কারণে ফলাফল অনেক সময় শূন্যই থেকে যায়।

তাই পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল ওজন কমাতে পরিমিত, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের উপায় ও উপকারিতা সম্পর্কে।

ওজন কমাতে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ যেভাবে কার্যকর

খাবার শরীরের ওজন ও সুস্থতায় সরাসরি ভূমিকা রাখে তাই কী পরিমাণ খাবার খাওয়া হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। প্রতিবেলার খাবার যদি মেপে খাওয়া হয় তাহলে অতিভোজন ও বাড়তি ক্যালরি যোগের সম্ভাবনা এড়ানো যায়। খাবার পরিমিত ও পুষ্টিকর হলে তা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি দেয় ও শরীর সুস্থ রাখে।

পরিমাপ নিয়ন্ত্রণ

খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের নানান পদ্ধতি রয়েছে। নিজের ইচ্ছা ও সুবিধার ওপর নির্ভর করবে কোন পদ্ধতিটা কার্যকর।

প্রতিবেলার খাবারের আগে পানি পান: খাবারের আগে পর্যাপ্ত পানি পান করলে বাড়তি খাবার গ্রহণের প্রবণতা ও ঝুঁকি কমে। এছাড়াও শরীর আর্দ্র থাকে। বাড়তি ক্যালরির চাহিদা কমাতে গরম ভেষজ চা, সঙ্গে লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

হাতের তালুর সাহায্যে খাবারের পরিমাণ মাপা: প্রতিবেলায় কী পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন সে সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। বিশেষত যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন। খাবার পরিমাপ করার কোনো আদর্শ যন্ত্র না থাকলে হাতের তালুর সাহায্যে খাবার মেপে প্রতিবেলায় খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ছোট প্লেটে খাবার খাওয়া: বড় প্লেটে খাবার খেলে বেশি খেয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে। তাই ছোট প্লেটে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই পদ্ধতিতে চাহিদার অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ধীরে ও মনোযোগ দিয়ে খাওয়া: অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে চাইলে ধীরে ও মনোযোগ দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অনেকক্ষণ খাবার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করা হলে তা হজমে সহায়তা করে ও শরীর সুস্থ রাখে।

পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা: খাবারের পরিমাণ কমাতে চাইলে এতে পুষ্টির পরিমাণ যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্লেটের অর্ধেকটা সবজি ও ফল দিয়ে পূর্ণ করুন।

বাকি ১/৪ ভাগে থাকবে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এবং আধা টেবিল-চামচ চর্বি।

সাধারণত খাদ্যাভ্যাসের এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে শরীর স্বাভাবিক পুষ্টি ও ভিটামিন পায়। যা দেহকে সচল রাখতে সাহায্য করে।

Pin It