সঙ্গে থাকতে হবে কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার।
আদর্শ খাবারের তালিকায় ডিম থাকলেও অতিরিক্ত খেলে কোলেস্টেরল বাড়তেও পারে।
এরকম দ্বৈত মতামতে যখন দ্বন্দ্ব তৈরি হয় তখনই দরকার পড়ে গবেষণা।
আর গবেষণায় দেখা গেছে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে দিনে দুতিনটা ডিম খাওয়া যেতে পারে।
২০১৮ সালে ‘অ্যামেরিকান জার্নাল অব নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা তিন মাস ধরে ‘হাই এগ ডায়েট’ অনুসরণ করেছিলেন তাদের রক্তের লিপিড’য়ের মাত্রা বা প্রদাহে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
সুস্থ থাকতে সুষম খাবার খাওয়া ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
সিদ্ধ ডিমের ডায়েট
এই গবেষণার সূত্র ধরে আরও জানানো হয়, এর অর্থ হল পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য দিনে দুতিনটা ডিম খাওয়া। ডিমে থাকা প্রোটিন পেশির চর্বি বাড়ায়। প্রদাহ ও পানিভাব কমাতে সহায়তা করে।
তবে এই খাদ্যাভ্যাসে প্রতি বেলার খাবারে কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ সবজি বা ফল খেতে হবে। না হলে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে না।
যেভাবে কাজ করে
এই খাদ্যাভ্যাস দ্রুত ওজন কমায় তাই এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যদিও অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন কম কার্বোহাইড্রেট ধরনের খাবারের সঙ্গে দিনে দুতিনটা ডিম খাওয়া ওজন কমাতে সহায়তা করে, বিপাক হার বাড়ায় এবং ক্ষুধা নিবারণ করতে সহায়তা করে।
তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া কলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই ডিম খাওয়াতে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
ডায়াবেটিকদের জন্য তা কতটা কার্যকর
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের স্যাচুরেইটেড চর্বি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কার্বোহাইড্রেইট এবং শর্করা।
খাবারে ডিম যোগ করা কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। তবে নির্ধাতির মাত্রার চেয়ে বেশি ডিম খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
তাই দিনে কেবল কম কার্বোহাইড্রেইট ধরনের সবজি ও সবুজ শাকের সঙ্গে দুতিনটা ডিম খাওয়া যেতেই পারে।