আজ মুক্তি মিলেছে ডেভিড ওয়ার্নারের। আজ থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে খেলায় আর বাধা নেই বল টেম্পারিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত এই ওপেনারের। তবে জাতীয় দল নয়, আজ ওয়ার্নারের ব্যস্ততা ছিল আইপিএল নিয়েই। কাকতাল নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কে জানে, আজ আইপিএলে তাঁর প্রতিপক্ষ দলেই ছিলেন মুক্তি পাওয়া অন্যজন, স্টিভ স্মিথ। ব্যক্তিগত দলুন আর দলীয়, দুই ক্ষেত্রেই জয়ী ওয়ার্নার। ওয়ার্নারের ঝড়ে স্মিথের রাজস্থান রয়্যালসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
ব্যক্তিগত লড়াই কথাটায় স্মিথের আপত্তি থাকতে পারে। কারণ, ব্যাটিংয়েই যে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। রাজস্থানের হয়ে যা করার সব যে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাই করে রেখেছিলেন। চতুর্থ ওভারেই জস বাটলারের বিদায়ের পরও রাজস্থানের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে তারা। যতক্ষণ রাহানে উইকেটে ছিলেন, পার্শ্বনায়ক হয়েই ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ১৬তম ওভারে ১১৯ রানের জুটিটা ভাঙল। ৪৯ বলে ৭০ রান করে ফিরলেন রাহানে। দলের রান তখন ১৩৪। ১৭তম ওভার শেষেও স্কোর মাত্র ১৪০।
১৮তম ওভারেই হঠাৎ ক্ষেপে উঠলেন স্যামসন। ভুবনেশ্বর কুমারের ওই ওভারে নিলেন ২৪ রান! পরের ওভারে এল ১৩ রান। শেষ ওভারে ভুবনেশ্বরকে পেয়ে আবারও রুদ্রমূর্তি স্যামসন ও স্টোকসের। সে ওভারে এল ২১ রান। শেষ ৩ ওভারে ৫৮ রান তুলে ১৯৮ এর পাহাড়ে রাজস্থান।
লক্ষ্যটা অনেক ছোট বানিয়ে ফেলেছিলেন ওয়ার্নার। ৫ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই দলের রান ৫০। এর মাঝে সঙ্গী জনি বেয়ারস্টোর অবদান ৬! পাওয়ার প্লেতেই পঞ্চাশ পেয়ে গেলেন ওয়ার্নার। বেয়ারস্টোও ধীরে ধীরে সঙ্গীর ছন্দটা নিজের মধ্যে টেনে নিলেন। এরই ফল নবম ওভারেই ১০০ হয়ে গেল হায়দরাবাদের। ১০ম ওভারে ৩৭ বলে ৬৯ রান করা ওয়ার্নার ফিরলেন স্টোকসের বলে। কিন্তু বেয়ারস্টো কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গি করে পরের বলেই মারলেন চার। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়েই ১১৫ রান হায়দরাবাদের।
বেয়ারস্টো (৪৫) আউট হয়েছেন পরের ওভারে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও আউট হয়েছেন ১৫তম ওভারে। কিন্তু জয় ততক্ষণে অনেক কাছে। বিষয় শংকর যে কচুকাটা করছিলেন তখন বোলারদের। উইলিয়ামসনের বিদায়ের পর ৩২ বলে ৩৫ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। ১২ বলে ৩৪ রান করা শংকর উইকেটে, কয় ওভার হাতে রেখে ম্যাচ শেষ হয় সে অপেক্ষা শুধু। কিন্তু শ্রেয়াস গোপালের পর পর দুই বলে শংকর (৩৫) ও পান্ডের (১) বিদায় নাটক জমিয়ে দিয়েছিল। ইউসুফ পাঠান ও রশিদ খান ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটা শেষ ওভারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে এনে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে ৬ বল আগেই জয় এনে দিয়েছেন রশিদ খান (৮ বলে ১৫*)।