ওয়াশিংটনের ঘটনায় হতবাক বিশ্বনেতারা

image-212432-1609989271

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস আইনসভা বা ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছে ট্রাম্পপন্থী সমর্থেরা। ক্যাপিটল ভবনের ভিতরে সংঘর্ষে গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইটে বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে লজ্জাজনক দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের জন্য পুরো বিশ্বের উদাহরণ। তারা গণতন্ত্রের জন্যে পুরো বিশ্ব দৌড়ে বেড়ায়, কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে এরকম একটি পরিস্থিতি সত্যি অগ্রণযোগ্য। নিয়ম অনুযায়ী ও শান্তি অব্যাহত রেখে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়োজন।

সিএনএনের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের কারণে ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র সংন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর৬ টা পর্যন্ত কারফিউ জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউজ এবং পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে এবং এর আশেপাশের রাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই হাজার ৭০০ এর বেশি নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মতোই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রের নেতারা একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের কেও কেও ট্রাম্প্বের কড়া সমালোচনা করেছেন।

জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস এক টুইটে বলেন, মার্কিন নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে ভোট প্রধান করেছে তা ট্রাম্প ও বটার সমর্থকদের মেনে নেয়ই এবং গণতন্ত্রকে কলুষিত না করে শান্তিপূর্ণভাবে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিৎ।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য দেশটির আইন প্রণেতারা যখন অধিবেশনে বসেছিলেন এসময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে।

এসময় বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটল ভবনের দরজা জানালায় ভাংচুর চালায়। কয়েক ঘণ্টা ধরে একপ্রকার ক্যাপিটল দখল করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ক্যাপিটল ভবনে জারি করে লকডাউন। তবে শেষমেশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফের অধিবেশন শুরু হয়েছে। তবে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘটনাকে ‘বিদ্রোহ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়া দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্পের সমর্থকদের প্রবেশকে অগ্রহণযোগ্য ও অসহনীয় বলে উল্লেখ করেছেন।

Pin It