সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এখন কথা বলতে পারছেন।
শনিবার তার সব ধরনের যন্ত্র খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরে তার সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসির রিজভী।
তিনি শনিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “সেতুমন্ত্রীর শরীরের সব একস্ট্রার্নাল ডিভাইস খুলে নেওয়া হয়েছে। তার লাস্ট যে এন্ডোটাকিয়াটা ছিল, সেটাও খুলে নেওয়া হয়েছে। এখন উনি সব ডিভাইসমুক্ত।”
এই চিকিৎসক বলেন, “উনি আজকে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেকেন্ডলি উনার হার্ট ১০০ ভাগ স্টেবল আছে, উনার প্রেসার ঠিকঠাকমতো মেনটেইন হচ্ছে, ইনফেকশন আগে থেকে কনট্রোলে চলে এসেছে। কিডনির অবস্থাও অনেক উন্নতি হয়েছে।
“এই মূহুর্তে তার সামান্য শারীরিক দুর্বলতা এবং এই দুর্বলতা দু-একদিনের মধ্যে ওভারকাম করলে উনাকে আমরা কেবিনে নিয়ে যেতে পারব।”
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন।
গত রোববার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে সোমবার বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার আম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
সেদিন রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরও সিঙ্গাপুরে রয়েছেন।