কপালের দোষে নয়, বয়সের সঙ্গে বলিরেখা পড়বেই। তবে নিয়মিত পরিচর্যায় ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ধীর হয়।
মুখের পরিচর্যার কথা মাথায় রাখলেও কপালের কথা মাথায় থাকে না। তাই কপালে যাতে বলিরেখার পড়ার মাত্রা ধীর হয় সেজন্য দরকার সঠিক প্রসাধনী দিয়ে নিয়মিত রূপচর্চা।
সানস্ক্রিন ব্যবহার বাদ না দেওয়া
ত্বকের আধুনিক পরিচর্যায় সান্সক্রিন ব্যবহার একটা প্রয়োজনীয় ধাপ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা’র প্রসাধনী তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘রিজার্ভেজ’য়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. টিফানি লিবি ইটদিসনটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকে বাদামি দাগ, সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন মুখ, ঘাড়, ও রোদে উন্মুক্ত থাকে এমন স্থানে দুই আঙ্গুলে সমান দৈর্ঘ্যের সান্সক্রিন লাগাতে হবে।”
বাইরে থাকলে প্রতি দুই ঘন্টা পরপর তা আবার মেখে নিতে হবে। এছাড়াও রোদ থেকে বাঁচার জন্য বড় মাপের টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করা উচিত।
সকালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেরাম ব্যবহার
সকালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেরাম ত্বকে ব্যবহার করা ভালো।
লিবির মতে, “আন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সুরক্ষিত রাখে, সুর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষতি যেমন- দূষণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে।”
তার মতে, ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেরাম যা ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
রেটিনয়েড ও পেপটাইডযুক্ত প্রসাধনী রাতে ব্যবহার
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকে ঠিক ঠাক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। পেপটাইড ও রেটিনয়েড সমৃদ্ধ প্রসাধনী এক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।
লিবি বলেন, “রেটিনয়েড ভিটামিন এ থেকে গৃহীত যা ত্বকের কোষের পুর্নগঠনে সহায়তা করে।”