বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের দুবাইগামী একটি উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সেনা কমান্ডোদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী যুবক।
রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছিল। ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক আমাদের সঙ্গে কথা বলে। সে প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। আমরা তাকে আত্মসমর্পণ করতে বললে সে আক্রমণাত্মক হয়। এ সময় কমান্ডো অভিযানে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয় এবং পরে মারা যায়।
মতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার কাছে একটি পিস্তল ছিল। আমরা যখন কমান্ডো অভিযান শুরু করি, সেও তখন গুলি করে। গোলাগুলিতে আহত হওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবক নিজেকে মাহাদি বলে পরিচয় দেয় বলে জানান তিনি।
উড়োজাহাজটিতে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন পাইলট-ক্রু ছিলেন। তারা সবাই অক্ষত রয়েছেন। কি উদ্দেশে সে উড়োজাহাজটি ছিনাইয়ের চেষ্টা করেছিল তা জানা যায়নি।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, পাইলট আমাদের প্রথম জানান ছিনতাইকারী বিদেশি। তবে পরে তার সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হন পাইলট। ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী ওই যুবকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি। বিমানবন্দর স্বাভাবিক হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব উড়োজাহাজাজ চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ১৪৮ আরোহী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি। পৌনে ৬টার দিকে সেটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। প্রথমে ছিনতাইকারী যুবক ও দুই ক্রু ছাড়া সবাইকে উড়োজাহাজ থেকে বের করে আনা হয়।
রাত পৌনে ৮টার দিকে এয়ার ভাইস মার্শাল মফিজুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে জিম্মি সংকটের অবসানের কথা জানান। তিনি বলেন, যাত্রীদের সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাইলট-কেবিন ক্রু সবাই নিরাপদে আছেন।