স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জোন ভিত্তিক বিশেষ করে রেড জোনে লক ডাউন কার্যকর করতে অবশ্যই কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত না করে লক ডাউন কার্যকর করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, লক ডাউনের পাশাপাশি রেড জোনে স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য জরুরী সেবাও নিশ্চিত করতে হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর পূর্ব রাজা বাজারে চলমান লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ লক ডাউন কার্যক্রমে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউন করা এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবা চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা দেয়ার জন্য এসব এলাকায় সব সময় অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে। যাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, লকডাউন করা এলাকায় গরীর, দু:স্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আর সামর্থ্যবানদের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তাজুল আরো বলেন, এখানে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়েছে।এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে যেখানে প্রয়োজন সেখানে লক ডাউন করা তা প্রয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপসহ যে সকল দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে তারাও সব কিছু চালু করেছে। কারণ দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর কোন বিকল্প নেই।
মেয়র আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লকডাউন কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, রাজধানীর বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পূর্ব রাজা বাজারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।