করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদারসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন নবনির্মিত পরিদর্শন বাংলো ‘পদ্মা’র উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আমি বিভিন্ন সিটি করপোরেশনসহ সারা দেশের পৌরসভাসমূহকে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদারসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি জনসাধারণকে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে বাড়ি-ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ সচেতন থাকার অনুরোধ করছি।”
গেল বছর বর্ষা মৌসুমে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সরকারি হিসাবেই রেকর্ড লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত এবং শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টি মশা নিধনে ব্যাপক অভিযান চালায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
এ বছরও ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা অনেকটাই আড়ালে রয়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়ার খবরে মশা নিধনে তৎপরতা বাড়াতে বললেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকার ‘জনসমর্থন ছাড়া’ টিকে আছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও জবাব দেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, “আমি জানতে চাই, জনসমর্থন আছে কি নেই তার মানদণ্ড কী? আরও জানতে চাই, সে অভিন্ন মাপকাঠিতে আপনারা কি আপনাদের জনসমর্থন মেপে দেখেছেন?
“নির্বাচন যদি মানদণ্ড হয়, সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট হয়। নির্বাচনগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিএনপিকে জনগণ পরিষ্কারভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের দেশের ট্র্যাডিশন হচ্ছে আন্দোলনে যারা পরাজিত হয়, পরবর্তী নির্বাচনেও তারা পরাজিত হয়। বিএনপি আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটোতেই পরাজিত হয়েছে এবং জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন তারা বলছে, সরকারের জনসমর্থন নেই। আন্দোলন এবং নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে, জনগণ যাদের বার বার প্রত্যাখ্যান করে তাদের মুখে একথা মানায় না।”
উপনির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এরইমধ্যে একটি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্য আসনগুলোতে তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী বাছাই বা চূড়ান্ত করতে দলীয় সভাপতিকে সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব দিয়েছে মনোনয়ন বোর্ড।
“আসনগুলোতে অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছেন। এটা রাজনীতির জন্য ইতিবাচক দিক। আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দলে এ প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক। প্রার্থী চূড়ান্ত হলে বা দল উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলে কাজে মাঠে নেমে পড়তে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”