চীনে আরও ৯৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৭৩ জনে।
তবে জানুয়ারির পর থেকে সোমবারই প্রথম চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে দুই হাজারের নিচে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মূল ভূখণ্ডে আরও ১ হাজার ৮৮৬ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৮ জন।
সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৪৩৬ জনে। আর অন্তত ২৬টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার চীনে মোট ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে নতুন এ করোনাভাইরাসে, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ৯৩ জন। তাতে চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৮৬৮ জনে।চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত তাইওয়ান, ফ্রান্স, হংকং, ফিলিপিন্স ও জাপানে পাঁচজনের প্রাণ গেছে। সব মিলিয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৮৭৩ জনে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার মানুষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উহানসহ কয়েকটি শহর গত জানুয়ারি থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। রোববার থেকে পুরো হুবেই প্রদেশে যানবাহন চলাচলের ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের যানবাহন বরে না করতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কলকারাখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এই হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই গতবছরের শেষে নভেল করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করে। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।চীনে বিপুল সংখ্যক শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় বিশ্ব অর্থনীতিতেও অস্থিরতা বাড়ছে, জাপান আর সিঙ্গাপুর পড়েছে মন্দার ঝুঁকিতে।
অ্যাপল জানিয়েছে, উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং চীনের বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় বছরের প্রথম প্রান্তিকে তারা লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না।
মার্চের শুরুতে চীনের পার্লামেন্ট অধিবেশন বসার কথা থাকলেও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।