করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে মারা গেছেন আরও ১৭ জন, সেই সঙ্গে ১ হাজার ৬৫৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে।
তাতে দেখা যায়, গত একদিনে নতুন ১ হাজার ৬৫৯ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ১২ হাজার ৬৪৭ জন।
আরও ১৭ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৮৩ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৮৮৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ১২ লাখ ৬ হাজারের ঘরে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২১ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩০তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬৩ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী ১ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৯৮৩ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৬০৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩৭৯ জন নারী।
মৃতদের মধ্যে ৩ হাজার ১১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৫৮১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৪২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৮৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৭২ জন খুলনা বিভাগের, ২০০ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫০ জন সিলেট বিভাগের, ২৬৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।