করোনা মোকাবিলায় সক্ষমতা আছে, ঘাবড়ানোর কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

pm-sheikh-hasina-5d9048a4b0fcc-5df09bac9e05c-samakal-5e649fc7a4740

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেকে যদি এ ব্যাপারে একটু সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন এবং সেভাবে মেনে চলতে পারেন ইনশাল্লাহ এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে যথেষ্ট আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। আমরা তা পারবো। কাজেই এখানে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সারাক্ষণ মনিটর করছি। কোথাও যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে আমি বলবো সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে। এছাড়া প্রতিদিনই আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কীভাবে চলতে হবে, কীভাবে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার নির্দেশনাগুলো সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।

করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবেও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

নারীর ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা কেউ কাউকে হাতে তুলে দেয় না। নিজের যোগ্যতায় অর্জন করে নিতে হয়। নারীরা তাদের যোগ্যতা দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে নারীদের সম্পৃক্ত করেছিলেন। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি দেশের পবিত্র সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সব কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছেন। নারীরা যত শিক্ষিত হবে সমাজ তত দ্রুত এগিয়ে যাবে। একজন নারী যদি কাজ করে কামাই-রোজগার করেন, তাহলে সংসারে তার সম্মান বাড়ে। পাশাপাশি সংসারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নারী ধর্ষণ এখন বিশ্বব্যাপী সমস্যা। যারা নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করে, তারা পশুর চেয়েও অধম। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এগুলো রোধে পুরুষদেরও সোচ্চার হতে হবে, পাশাপাশি সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিগত ১১ বছরে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে সহযাত্রী করা হয়েছে। নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১’, নারী উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২৫, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা ২০১৩ সহ ডিএনএ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ ও ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা।’

মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে পাঁচ মহিয়সী নারীকে জয়ীতা পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Pin It