করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়াল

corona-samakal-5e724f42d4988

সারাবিশ্বে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ পেরিয়ে গেছে।

বুধবার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে বিবিসি এতথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ এক হাজার ৫৩০ জন; আর মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৭ জন।

আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই ভাইরাসের উৎসদেশ চীন। চীনে এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১০২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এরপরের অবস্থানে ইতালি; দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৫০৬।

এদিকে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বুধবারই। এই ভাইরাসের সংক্রমণে এটিই দেশে প্রথম মৃত্যু। দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে। পরে তা চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। ইতালি থেকে পুরো ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস।

সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফ্লুর মতো উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখন পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুহার ৩.৪ শতাংশ, যেখানে মৌসুমি ফ্লুতে মৃত্যুহার থাকে ১ শতাংশের নিচে। তবে করোনায় ৯ বছরের নিচের কেউ মারা যায়নি। প্রবীণদের মধ্যেই মৃত্যুহার বেশি।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। আপাতত একমাত্র উপায় হলো আক্রান্তদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

Pin It