বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দাম্ভিকতা ছাড়া সরকারে্ আর কিছুই নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অদূরদর্শিতা, সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা ও একগুয়েমি মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। তাই করোনায় মৃত্যুর দায় সরকারকে নিতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে লকডাউন শিথিল ও যথাযথ তদারকি না করে সরকার দেশকে ভয়ংকর বিপজ্জনক অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা সামাজিক দুরত্বের সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এভাবে চলতে থাকলে করোনা মোকাবিলা দূরে থাক, সারাদেশে ভয়াবহ অবস্থা তৈরী হবে।
তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে দীর্ঘ লাইনের প্রসঙ্গ তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের চরম অব্যবস্থাপনা ও সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন। ত্রাণ নিয়ে সরকারি দলের লুটপাটের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনার ভয়াবহ সংকট থেকে মানুষ বাঁচাতে সর্বদলীয় ঐক্য গঠন করে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ছিলো বিএনপি। কিন্তু সরকার সেটা করেনি। অথচ সেটা হলে ত্রাণ নিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটতো না। তিনি আরও বলেন, সরকারের ত্রাণ দলীয় নেতাকর্মীরাই পেয়েছে। সাধারণ মানুষ বা অন্য দলের কাউকে ত্রাণ দেওয়া হয়নি। তিনি আবারও ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব সেনা বাহিনীকে দেওয়ার দাবি জানান।
বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ১৭ মে পর্যন্ত সারাদেশে ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৩টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এক কোটি ২৫ লাখ ১০ হাজার ৭৭২ মানুষ এই সুবিধা পেয়েছে। এছাড়া ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে প্রায় ৭৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২ হাজার পূর্ণাঙ্গ পিপিই সরবারহ করেছে। অনলাইনে ড্যাব সদস্যরা দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।