গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৩০৫ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৮৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জনে।
একদিনে আরও ২ হাজার ৬৮৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জনে।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬২৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৮৮ হাজার ৩৪।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এই তথ্য জানিয়েছেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩টি।
এই সংখ্যা আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ২ হাজার ২৯৫টি কম। নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকে মত জানিয়ে আসছেন।
শনিবারের বুলেটিনে এ পর্যন্ত দেশে ৯ লাখ ২৯ হাজার ৪৬৫টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখে গিয়ে ঠেকেছে, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজারের বেশি জনের।
বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বুলেটিনে নাসিমা সুলতানা বলেন, শনিবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী।
এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, বাড়িতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ১১ জন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় ১ জনকে।
মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের এবং ১ জন বরিশাল বিভাগের।
এই ৩৭ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে। ৩ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে নাসিমা সুলতানা জানান, কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ জানাতে একটি লিঙ্ক চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। www.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটের করোনা কর্নারে এ বিষয়ক অভিযোগ জানানো যাবে।