যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু যাদের আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা আছে তাদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা অ্যাজমা রোগীদের জন্য করোনা বেশি বিপদ ডেকে আনছে। এ কারণে এই সময় এ ধরনের সমস্যায় ভোগা রোগীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
সাধারণ পরিস্থিতিতে, অ্যাজমা স্টেরয়েডস্প্রেয়ের মতো মৌখিক ইনহেলার দিয়ে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রোগীরা নির্ধারিত ওষুধ নিয়মিত খেলে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণে এ সময় চিকিৎসকরে পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাজমা রোগীদের নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে। যেমন-
১. অ্যাজমা রোগীদের অবশ্যই গণপরিবহন এড়ানো বা ভিড়ের মধ্যে যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
২. অন্য ব্যক্তির থেকে কমপক্ষে দুই মিটার বা তার বেশি দূরত্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
৩. বর্তমান সময় কোনও অপ্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হবেন না।
৪. কোনও লকডাউন বা কারফিউ না থাকলেও মহামারি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাড়িতে থেকেই কাজ করা জরুরি।
৫. হাত ধোয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এছাড়া ঘরবাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখুন।
এসব ছাড়াও এ সময় অ্যাজমা রোগীর নিজেকে সুস্থ রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন-
ইনহেলার ব্যবহার করুন: আপনার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মহামারি চলাকালীন সময় নিয়মিত আপনার ইনহেলার ব্যবহার করুন।
নিজের শরীর নিজে বুঝুন: অ্যাজমা এক এক জনকে এক এক ভাবে আক্রমণ করে। কেউ কেউ ঠাণ্ডা বাতাসে আক্রান্ত হন। কারও বা ধূলবালিতে সমস্যা হয়। কেউ কেউ গন্ধেও আক্রান্ত হন। কারও আবার বিভিন্ন খাবার বা পানীয় থেকে সমস্যা বাড়ে। নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন হন। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে যেসব জিনিস থেকে সমস্যা বাড়ে সেগুলি এড়িয়ে চলুন।
রেকর্ড রাখুন: বুকে ব্যথা এবং শ্বাস নিতে সমস্যা করোনা আক্রান্তদেরও হয়। অ্যাজমা রোগীরা নিজেদের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে পরিবর্তন বুঝলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।