স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের (এমআইএস) পরিচালক ও এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, যারা জানুয়ারির ২৮ তারিখে প্রথম টিকা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন ২৮ মার্চ। আর যারা ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাদের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
“তারিখ ও সময় জানিয়ে সময়মত এসএমএস চলে যাবে। এটার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ ঠিক করা নাই। তবে টিকা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগে এসএমএস চলে যাবে। সরকারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা আছে, টিকা পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নাই।”
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়ার তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। এ পর্যন্ত সারাদেশে ৩৯ লাখ ৬৫০০ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৪ জন।
গণ টিকাদান শুরুর সময় সিদ্ধান্ত ছিল, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে এক মাস পর। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের টিকা কার্ডে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এক মাস পরের তারিখই দেওয়া হচ্ছিল।
কিন্তু এই টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়লে কার্যকারিতাও বাড়ে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার সুপারিশ করে জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম ১৫ ফেব্রুয়ারি জানান, বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ দুই মাস পরেই দেওয়া হবে।
এরপর থেকে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিচ্ছেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাদের টিকা কার্ডে দুই মাস পরের তারিখই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা প্রথম দিকে টিকা নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এক মাস পরের তারিখ পেয়েছিলেন, সেই সময় হয়ে আসায় এবং নতুন তারিখের কোনো এসএমএস না পাওয়ায় তারা বিভ্রান্তিতে পড়েন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক সোমবার বলেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসএমএসগুলো কীভাবে পাঠানো হবে, তা ঠিক করতে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
“আইসিটির সঙ্গে আমাদের একটা মিটিং আছে, সেখানে বিষয়টি ঠিক করা হবে। কীভাবে করব, মোডালিটিটা কী হবে সেটা আমরা জানাব সবাইকে।”
শামসুল হক বলেন, দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান দুই মাসের হবে। দুই মাসের আগে টিকা নেওয়া যাবে না। তবে কেউ চাইলে কয়েকদিন পরেও নিতে পারবেন। মনে করেন যার ৭ তারিখে টিকা নেওয়ার ডেইট, সেদিন তার হয়ত জ্বর, সেক্ষেত্রে তিনি পরে নিতে পারবেন।”