দেশে এ পর্যন্ত পৌনে ৩৯ লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ২০২ এবং নারী ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩৪ জন।
এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। এরমধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩।
এ ছাড়া এপর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ৫৫ হাজার ৪৩৬ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৪৩৩ এবং নারী ২২ হাজার ৩০ জন। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৪০ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৭ লাখ ১১ হাজার ২৮৯ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৭৫ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ৪ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৯০০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৪১ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৯ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৬২ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২১৮ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬১৫ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৮ হাজার ৭৯১ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৯৩৯ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।