সাত সপ্তাহ পর দেশে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ফের ছয়শ ছাড়িয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার রয়েছে দশ শতাংশের উপরে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬০১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৬১৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার সামান্য কমে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ১২ দশমিক ৭২ শতাংশে উঠেছিল।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ১৮ হাজার ২১৫ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৯ হাজার ৩৪০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬২ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৯৭৭ জন।
গত একদিনে যে ৬০২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪৯৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। দেশের ৩১টি জেলায় গত একদিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।