করোনা: ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ

image-146938-1587671462

করোনা ভাইরাসের করাল থাবায় যখন গোটা পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজ হুমকির মুখে, সেই মুহূর্তে মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করোনা মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে এখন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে নার্সদের অবদান আজ বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বীকৃত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নার্সেদেরকে করোনা মোকাবেলায় বিশেষ অবদানের জন্য হিরো হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে নার্সরা নিজের জীবন বাজি রেখে সামনের সারির সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন এবং সর্ব মহলে তা প্রশংসীত হচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা হয় নার্সদের একমাত্র রেজিস্টার্ড সংগঠন বিএনএ এর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার নির্বাচিত সভাপতি আওয়ামী পন্থিনার্স নেতা- কামাল হোসেন পাটওয়ারীর সাথে- তিনি বলেন “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা নার্স দরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং নার্সদের কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে তা জানা মাত্র সমাধানের জন্য তাৎক্ষনিক নির্দেশনা প্রদান করছেন”।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে নার্সদের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করার জন্য একটি শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যদি কোন নার্স অসুস্থ অথবা আক্রান্ত হন অথবা অন্য কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে মনিটরিং টিমের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে”। এই নেতা আরও বলেন- “করোনা ইউনিটে কর্মরত সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের সাতদিন (০৭) ডিউটি করে ১৪ দিন কোয়ান্টাইনে থাকতে হয় ফলে এই দূর্যোগ আরও দীর্ঘায়িত হলে নার্সিং সেক্টরে জনবলের চরম সংকট দেখা দিতো তবে সরকার অতি দ্রুত যে ৬০০০হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন হলে বর্তমান সংকট মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব জাহেদ মালিককে নার্সদের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। এ ক্ষেত্রে তিনি বিশেষভাবে তিন (০৩) হাজার নার্সের কথা উল্লেখ করেন যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশী হয়েছে। সেই সকল অভিজ্ঞ এবং দক্ষ নার্সদের জাতীয় স্বার্থে বয়স প্রমার্জন করে বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানান।

এই নেতা আরও বলেন- “এই দূর্যোগের সময়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা টেলি কনফারেন্স এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক সমগ্র দেশের নার্সদের সকল বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন এজন্য নার্স মাতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত নার্স জাতির পক্ষ হতে অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

কামাল হোসেন পাটওয়ারী আরও বলেন- “আমরা নার্সরা আমাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমাদেরও ঘর-সংসার এবং সন্তান আছে। আমাদের সাথে আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে যেন কোন প্রকার বৈষম্য তৈরী করা না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। নার্সদের কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টিতেও বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান”।

এই নেতা আরও বলেন- “এই দেশে আমাদের একমাত্র অভিভাবক নার্স মাতা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদটিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দিয়ে সন্মানিত করেছেন এবং তার সরকারের আমলেই কয়েক দফায় বিশ (২০) হাজারের মতো সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং মিডওয়াইফ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সরকারী চাকুরিতে এই বিশাল সংখ্যক নার্সের কর্মসংস্থান অতীতের যে কোন সময়ের সরকারের চেয়ে নার্সিং খাতের উন্নয়নে বেশি ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করেন”।

তিনি আরও বলেন “এই Covid-19 (Corona) মোকাবেলায় নার্স জাতি কোন পুরস্কার বা প্রনোদনার আশায় নয়, শুধুমাত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বর্তমানে নার্সদের PPE এর সংকট অনেকটা প্রশমিত হয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে কোন প্রকার উদাসীনতা না দেখানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ করেন। তিনি নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তর কেও ধন্যবাদ জানান তাদের সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর জন্য”।

এ সকল বিষয়ে কথা হয় আওয়ামী পন্থি নার্সিং সংগঠন স্বানাপ এর সভাপতি মোঃমুস্তাফিজুর রহমান এর সাথে-তিনি বলেন, ” দ্রুত ৬০০০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সিদ্ধান্তটি অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় কে ধন্যবাদ জানাই। সেইসাথে নার্সদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়েও তিনি সরকারের নেওয়া উদ্যোগ এর প্রশংসা করেন এবং এই বিষয়টির উপর আরো জোর দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। “যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ,ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ” এই মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী পন্থি এই নার্স নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নার্স দরদী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেন। করোনা মোকাবিলায় জননেত্রীর যেকোন নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধাবোধ করবেন না বলে জানান এই নার্স নেতারা। প্রধানমন্ত্রী সুস্থ থাকলে তার নেতৃত্বে এই দূর্যোগে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই নেতারা।

Pin It