কর্মহারা মানুষ যারা মুখে কিছু বলতে পারে না তাদের খুঁজে বের করে বাড়ি বাড়ি গিযে ত্রাণ দিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা কর্মহারিয়ে দিশেহারা হয়ে মুখে বলতে পারে না, তাদের খুঁজে খুঁজে বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ উপকমিটির উদ্যোগে অসহায় গরিব মানুষের মাঝে প্রতিনিধির মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আগে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ সারা দেশে ত্রাণ তৎপরতা এবং চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করছে। আওয়ামী লীগের নেতকর্মীরা জনগণের পাশে আছেন। অসহায় মানুষের পাশে আছেন। গরিব, নিম্নমধ্যবিত্ত অনেক মানুষ আছেন যারা আজ কর্ম হারিয়ে দিশেহারা।’
তিনি বলেন, ‘অনেকই মুখে বলতে পারছেন না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে অনেক কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। এসব লোকদের খুঁজে তাদের মাঝে আওয়ামী লীগের ত্রাণ উপ-কমিটি যে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন এটা প্রশংসনীয়।’
করোনা ভাইরাসের জন্য সামনে আরও দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংকট প্রলম্বিত হওয়ার কথা বলেছে। এর অর্থ এই সংকট আরও বহুদিন আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমাদের অনেক পথ চলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে ভয়ের কারণ নেই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ভয়কে জয় করবো। তিনি এ যাবত প্রমাণ করেছেন কীভাবে ক্রাইসিসকে সম্ভাবনায় পরিণত করা যায়। আমরা সেই রকম এক নেত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখন দুটি জিনিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। এর একটা যুদ্ধ হচ্ছে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা। আরেকটা যুদ্ধ হচ্ছে আমাদের গরিব ও অসহায় মানুষকে প্রটেকশন দেয়া। এই দুইটি লড়াই আমরা করে যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’
সংকট মোকাবেবলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে-বিদেশে সাহসী নেতা হিসেবে সুপরিচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নেতৃত্বে এমন একজন আছেন যিনি বাংলাদেশের অনেক সংকটের সাহসী এবং পরীক্ষিত নেতা। তার হাতে যে দায়িত্ব তাতে জনগণ আস্থা রাখতে পারেন। শেখ হাসিনার সৎ ও পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বে যে করোনা প্রতিরোধ লড়াইয়ে নেমেছি, এই লড়াইয়ে বিজয় আমাদের হবেই।
কৃষকের ধান কাটা কর্মসূচিতে কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়ায় ওবায়দুল কাদের তাদের ধন্যবাদ জানান।
পরে দেশের আলেম-ওলামা, মটরচালক লীগ, মহিলা শ্রমিকলীগ, ফটো জার্নালিস্ট, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রিক বিতরণ করা হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ উপস্থিত ছিলেন।